fbpx
BBS_AD_BBSBAN
২৯শে সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৪ই আশ্বিন ১৪৩০ | পরীক্ষামূলক প্রকাশনা

বাস্তবতার সঙ্গে প্রস্তাবিত বাজেটের কোনো মিল নেই: সিডিপি

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

প্রস্তাবিত বাজেটে জীবন ও জীবিকাকে প্রাধান্য দিলেও বাস্তবতার সঙ্গে তার কোনো মিল নেই বলে মন্তব্য করেছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

শুক্রবার (৪ জুন) রাজধানীর লেকশোর হোটেলে প্রস্তাবিত বাজেট পর্যালোচনায় সংস্থাটি এ কথা তুলে ধরেন।অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। এসময় উপস্থিত ছিলেন- সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম ও সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান।

ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘এ বছর বাজেটে কোভিড ব্যবস্থাপনা নিয়ে চিন্তার একটা স্বচ্ছতা রয়েছে, কিন্তু সেই চিন্তার স্বচ্ছতার সঙ্গে বরাদ্দ কিংবা পদক্ষেপের মিল পাওয়া যাচ্ছেনা। এখানে যদিও অনেক কিছু বলা হয়েছে, বলা হয়েছে আমরা জীবন ও জীবিকার বাজেট নিয়ে আমরা এগিয়ে যাবো। স্বাস্থ্য, কৃষি ও কর্মসংস্থান- এই তিনটি খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে, কিন্তু আমরা বরাদ্দের ক্ষেত্রে সেটি দেখছি না। বাজেটে সামষ্টিক অর্থনৈতিক কাঠামো বাস্তবতার সাথে কোনো মিল নেই। অষ্টম পঞ্চবার্ষিকীর লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও তা ভিন্ন হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যে জীবন ও জীবিকার মাধ্যমে আমরা এগিয়ে যাবো বলা হচ্ছে, কিন্তু এখানে কী ধরণের রিফর্ম দরকার, কী ধরণের সংস্কার দরকার, কী ধরণের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা দরকার, সেটা কীভাবে করবো তার কোন সঠিক ও স্বচ্ছ পরিকল্পনা নেই। বাজেটে নতুন করে জীবন ও জীবিকাকে প্রাধিকার দিয়ে আমরা কীভাবে এগিয়ে যাবো সেটা বাস্তবায়নের জন্য সঠিক এবং স্বচ্ছ রূপরেখা দেখতে পাচ্ছি না।’

বাজেট ঘাটতি সম্পর্কে সিপিডির ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘বাজেট ঘাটতি কোথা থেকে আসবে সেটা বড় প্রশ্ন।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাজস্ব আহরণের বিষয়ে বাজেটে বলা হয়েছে, আগামী অর্থবছরে চলতি সংশোধিত বাজেটের তুলনায় রাজস্ব আহরণ ১০.০৭ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। ঘাটতি বাজেটের অর্থায়ন রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে কতটুকু সম্ভব হবে, সে বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ আছে। সিপিডি পর্যালোচনায় দেখতে পায় রাজস্ব আহরণ ৩০.৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা সম্ভব।’

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘বাজেটে এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৯.৬ শতাংশ। রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে ঘাটতি পূরণ করা হবে। ব্যয় ঠিক করে আয়ের চিন্তাধারা থেকে এনবিআরের ওপর রাজস্ব আদায়ের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়। যা আসলে অর্জন করা সম্ভব হয় না।’

অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘এ বাজেট কাঠামোগতভাবে দুর্বল। বাজেট প্রণয়নে যে অনুমিতিগুলো ধরা হয় সেগুলো দুর্বলভাবে ধরা হয়েছে। বাজেটটি করোনাকালীন হলেও এটিকে চলমান বাজেটই মনে হচ্ছে। বাজেটে আয়, ভোগ ও সম্পদ বৈষম্য হ্রাসের যে ফিলোসফি থাকে, প্রত্যক্ষভাবে এই বাজেটে তা নেই। নতুন দরিদ্র কিংবা নতুনভাবে কর্মহীন হয়ে পড়াদের জন্য কিছু নেই।’

Advertisement
Share.

Leave A Reply