সারাদেশে চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ১৪ জুলাই। তবে এরপর চলমান বিধিনিষেধ বহাল থাকবে কি না বা তা শিথিল হবে কি না, সে প্রসঙ্গে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
তিনি বলেন, এই বিষয়ে এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় নি। পরিস্থিতি বিবেচনা করে সোমবার রাতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে এবং মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পারে।
রবিবার (১১ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার যে সংক্রমণ পরিস্থিতি, সেটি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। বিধিনিষেধ বাস্তবায়নের দিকেই সরকার বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। সংক্রমণ এবার এমনভাবে ছড়িয়েছে, সেটা খুবই আশঙ্কাজনক। ১৪ জুলাইয়ের পরের সময়ও আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি আমরা এ সংক্রমণ কমাতে চাই, তাহলে এ প্রক্রিয়া কিন্তু অব্যাহত রাখতে হবে, বিভিন্ন পর্যায়ে।’
যেহেতু ঈদ এবং কোরবানির হাট আছে, এ দুটিকে কীভাবে করলে সংক্রমণটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারব, সেটিই আমাদের মূল লক্ষ্য। হাটগুলোকে কত সুনিয়ন্ত্রিতভাবে করতে পারি সেটা নিয়ে চিন্তা করা হচ্ছে বলেও জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।
কোরবানির পশুর হাট প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘হাটগুলো যাতে নিরাপদ জায়গাতে হয়, খোলা জায়গায়, যেখানে তিনটি গেট থাকতে পারে। একটি দিয়ে ক্রেতারা ঢুকবেন, তারা পশু কিনে নিয়ে আসবেন। আরেকটি দিয়ে পশু ঢোকানো হবে।’
এছাড়া হাটে যাতে নির্দিষ্ট সংখ্যক ক্রেতা ঢোকে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে। অবশ্যই হাটে এলে একা বা বেশি সংখ্যক না এসে সঙ্গে একজন যাতে থাকে। সংক্রমণ ও মৃত্যু মাথায় রেখেই হাটে আসতে হবে বলেও সবাইকে সতর্ক করেন তিনি।
এছাড়া ডিজিটাল হাটকে যাতে আরও জনপ্রিয় করা যায়, সেটিতে এবার আরও জোর দিচ্ছি বলেও জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
