অবৈধ দখল উচ্ছেদ করার সময় নোটিশ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা নেই বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার (৩ নভেম্বর) তিনি কলাবাগান খেলার মাঠ ও মাঠ সংলগ্ন শহীদ শেখ রাসেল শিশু পার্কের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ কথা বলেন।
ঢাদসিক মেয়র বলেন, দায়িত্ব পাওয়ার পর যে সকল খাল থেকে বর্জ্য ও পলি অপসারণ করা হয়েছে তন্মধ্যে অনেক খালের অনেক জায়গায় ইতোমধ্যে ভরাট হয়ে গিয়েছে।পহেলা জানুয়ারি থেকে আমরা আবারও খাল পরিস্কার কার্যক্রম হাতে নেবো। এ সময় অবৈধ দখল উচ্ছেদ করার সময় নোটিশ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তাপস বলেন, ‘আমরা দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিন থেকেই খুবই কঠোর একটি বার্তা দিয়েছি – সকল অবৈধ দখলদারকে আমরা উচ্ছেদ করব। পর্যায়ক্রমে সেই কার্যক্রম আমরা হাতে নিয়েছি এবং তাদেরকে উচ্ছেদ করে চলেছি। আপনারা জানেন যে, ওয়াসার কাছ থেকে খালগুলো পাওয়ার পর ব্যাপকভাবে সেগুলো হতে আমরা দখলমুক্ত করেছি।‘
ঢাদসিক মেয়র বলেন, ‘ধানমন্ডি খালের পুনরুদ্ধার ও পুনরুজ্জীবিত করার কার্যক্রম শুরু করেছি। এই খালের একটি অংশ আগে দখলমুক্ত করা যায়নি। বিভিন্ন সরকারি সংস্থা সেগুলো দখল করে রেখেছে। আমরা সেগুলো দখলমুক্ত করতে কার্যক্রম আরম্ভ করেছি। আমাদের উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান থাকবে। আমরা পূর্ণাঙ্গভাবে মূল নকশা অনুযায়ী খালকে পুনরুজ্জীবিত করব এবং নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করব।’
কলাবাগান মাঠ ও মাঠ সংলগ্ন পার্ক উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, ‘এই এলাকাটা রাসেল স্কয়ার নামেই পরিচিত। তাঁরই নামে ‘শহীদ শেখ রাসেল শিশু পার্ক’ উদ্বোধন করেছি। এখানে বাচ্চারা আসতে পারবে খেলাধুলা করবে বিভিন্ন সরঞ্জামাদি দেওয়া হয়েছে তারা যাতে উপভোগ করতে পারে। সেই পরিবেশ আমরা করে দিয়েছে। এর মাধ্যমে অত্র এলাকার দীর্ঘ প্রতীক্ষিত, উপভোগ্য জায়গাটি উন্মোচিত হলো। সকলে পরিবার-পরিজন নিয়ে এখানে আসতে পারবে, ঘুরতে পারবে, খেলতে পারবে।’
এর আগে শেখ তাপস বনানী কবরস্থানে জাতীয় চার নেতার সমাধি সৌধ, ধানমন্ডি-৩২ এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ এবং ধানমন্ডি লেকের বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরে ঘুরে পর্যবেক্ষণ করেন।
বনানী কবরস্থানে জাতীয় চার নেতার সমাধি সৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের পর সাংবাদিকদেরক ‘জাতীয় চার নেতা আত্মত্যাগের দৃঢ়তায় দেশপ্রেমের বিরল নজির রেখে গেছেন’ বলে মন্তব্য করেন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস।
এছাড়াও ধানমন্ডি লেক পরিদর্শনকালে মেয়র তাপস ‘লেক দখল করা স্থাপনাসমূহের অবৈধ বর্ধিতাংশ উচ্ছেদ, লেকের পরিবেশগত উন্নয়ন ও সৌন্দর্যবর্ধনে’ নানাবিধ দিক নির্দেশনা দেন।