বৈদেশিক বিনিয়োগে দিন দিন বাংলাদেশের গুরুত্ব বাড়ছে, আর দেশে সৃষ্টি হয়েছে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ। বিনিয়োগের জন্য দেশে পর্যায়ক্রমে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে ২৭ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ প্রস্তাব সরকার পেয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাড়ে পাঁচ বছর পর আজ রবিবার (২৮ নভেম্বর) থেকে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলন শুরু হয়েছে রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে। সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার ‘বাংলাদেশ সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব আইন, ২০১৫’ প্রণয়ন করেছে এবং সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করেছে। বর্তমানে ৭৯টি পিপিপি প্রকল্পে প্রায় ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ প্রস্তাব বাস্তবায়নের অপেক্ষায় রয়েছে। পাশাপাশি, সরকার বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন-২০১৬ প্রণয়ন করেছে এবং বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করেছে। এছাড়া, ২০১৯ সাল থেকে ওয়ান স্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে ৩৫টি সংস্থার ১৫৪টি বিনিয়োগ সেবা অনলাইনে প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।
জাতীয় শিল্পনীতিসহ খাতওয়ারি শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন করেছেন জানিয়ে সরকারপ্রধান আরও বলেন, শ্রম (সংশোধন) আইন, ২০১৮ প্রণয়ন করেছে সরকার। প্রতিটি প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে পরিবেশ সংরক্ষণের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। রপ্তানিমুখী শিল্পের প্রবৃদ্ধির জন্য বড় ব্যবস্থাপনাকে অটোমেশন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে পাঁচ বিলিয়ন ডলার আইটি পণ্য রপ্তানির লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। এদিকে, করোনায় এক লাখ ৮৭ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৫৫৪ মার্কিন ডলার। এ সময় তাঁর বক্তব্যে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস সামিটের মধ্য দিয়ে বিশ্বে বাংলাদেশের বিনিয়োগ বাজার তৈরি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এই সম্মেলনের আয়োজক ও অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানাই। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্কে বিশ্বের ধারণা তৈরি হবে। বিশ্বে বাংলাদেশের বিনিয়োগ বাজার তৈরি হবে’।