বেতন কেটে নেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করা না হলে নির্দিষ্ট সময়ের পর আন্দোলনে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পাইলটরা। এমনকি, চুক্তির বাইরে পাইলটরা অতিরিক্ত কোনো ফ্লাইটও তখন পরিচালনা করবেন না। আর এই সিদ্ধান্ত বাতিলের জন্য বিমান বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে আগামী ৩০ জুলাই পর্যন্ত সময়সীমা বেধে দিয়েছে বাপা।
পাইলটদের সংগঠন বাংলাদেশ পাইলট এসোসিয়েশনের (বাপা) নির্বাহী কমিটি আজ বুধবার (১৪ জুলাই) এ বিষয়ে এক জরুরি বৈঠকে বসবে। এই বৈঠকেই আন্দোলনের কর্মসূচির বিষয়ে ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বাপা সূত্র।
এর আগে, গত সোমবার (১২ জুলাই) বাপা এ বিষয়ে একটি চিঠি দিয়েছে বিমানের পরিচালক ফ্লাইট অপারেশনকে (ডিএফও)। সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে বেতন কেটে নেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিতে হবে। করোনার মধ্যেও ফ্লাইট পরিচালনা করতে গিয়ে পাইলটদের ২৫ জন এবং তাদের পরিবারের সদস্যরাও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তারপরও পাইলটদের ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনায় না রেখে উল্টো তাদের বেতন কেটে কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলেও চিঠিতে দাবি করেছে বাপা।
এ বিষয়ে ডিএফও অফিস সূত্র জানিয়েছে, আন্দোলনের অংশ হিসেবে পাইলটরা যদি চুক্তির বাইরে ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ করে দেন, তবে বিমানের দুবাই, আবুধাবী, দোহা, দাম্মাম ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
এদিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের জারি করা এক আদেশে গতকাল মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) বলা হয়েছে, যাদের চাকরির বয়স শূন্য থেকে ৫ বছর, তাদের বেতন আগে যেখানে ১৫ শতাংশ করে কেটে রাখা হতো, জুলাই থেকে তা আর কেটে রাখা হবে না। তবে, যাদের চাকরির বয়স ৫ থেকে ১০ বছর তাদের বেতন ২০ শতাংশের বদলে ৫ শতাংশ, যাদের চাকরির বয়স ১০ বছরের বেশি তাদের ৪০ শতাংশের বদলে ২৫ শতাংশ কেটে রাখা হবে।
এখন পর্যন্ত সম্মুখসারিতে থাকা পাইলটদের বেতন কেটে রাখার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়নি বলে উল্লেখ করে বাপার সভাপতি ক্যাপ্টেন মাহবুবুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘এ সিদ্ধান্ত অমানবিক ও চুক্তির শর্তবহির্ভূত। তবে, বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যে আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হয়, তাহলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাব’।