fbpx

বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার জয়

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

২০২২ কাতার বিশ্বকাপের দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বের দুটি পৃথক ম্যাচে  শুক্রবার ভোরে মাঠে নেমেছিল লাতিন আমেরিকার দুই পরাশক্তি আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল। জয় পেয়েছে উভয় দলই। দুটি জয়ই এসেছে প্রতিপক্ষের মাঠে। ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ৩-১ গোলের জয় তুলে নিয়েছে আর্জেন্টিনা, অপর ম্যাচে চিলিকে ১-০ তে হারিয়েছে ব্রাজিল।

কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন হিসেবে বাছাইপর্বের ৭ম রাউন্ড শুরু করে আর্জেন্টিনা। ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে শুক্রবার দলে ছিলেননা ডিফেন্ডার ক্রিস্তিয়ান রোমেরো ও মিডফিল্ডার লিয়ান্দ্রো পারেদেস। ডিফেন্সে জুটি বেঁধেছিলেন নিকোলাস ওতামেন্ডি ও  জার্মান পেজেলা।

বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে যোগ দেবার পর এটি ছিল লিওনেল মেসির প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। গোল বা এসিস্ট কিছু না পেলেও ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে মেসির ছোট্ট ভূমিকা ছিল। ৩২ মিনিটের সময় মেসিকে বাজে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন ভেনেজুয়েলার ডিফেন্ডার আদ্রিয়ান মার্তিনেজ। ১০ জনের দলে পরিণত হওয়া ভেনেজুয়েলার উপর এরপর চড়াও হয় আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ঠিক আগমুহুর্তে জিওভানি লো সেলসোর এসিস্ট থেকে গোল করেন লাউতারো মার্তিনেজ।

দ্বিতীয়ার্ধে অ্যানহেল দি মারিয়া ও লো সেলসোকে তুলে নিয়ে অ্যানহেল কোরেয়া ও জোয়াকুইন কোরেয়াকে নামান কোচ লিওনেল স্কালোনি। কোচের আস্থার প্রতিদান দিইয়েছেন দুই মিতাই। ৭১ মিনিটে লাউতারো মার্তিনেজের এসিস্ট থেকে গোল করেন জোয়াকুইন। তার ৩ মিনিট পরই অ্যানহেলের গোলে ব্যবধান দাড়ায় ৩-০। অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টি থেকে ভেনেজুয়েলার ইয়েফারসন সোতেলদোর সান্ত্বনাসূচক গোলে ৩-১ এ শেষ হয় ম্যাচ। ৭ ম্যাচে ৪ জয় ও ৩ ড্র নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থান ধরে রাখল ‘লা আলবিসেলেস্তে’রা।

এদিকে ইংলিশ ক্লাবগুলোর কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মনীতির খাঁড়ায় ব্রাজিল পূর্ণশক্তির একাদশ মাঠেই নামাতে পারেনি। দুই প্রথম পছন্দের গোলকিপার আলিসন ও  এদেরসন ছিলেন না দলে, গোলবার সামলেছেন পালমেইরাসের ওয়েভারটন। অনেকদিন পর প্রথম একাদশে সুযোগ পেয়েছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের ভিনিসিয়াস জুনিয়র। নেইমারের সাথে সম্মুখভাগে আক্রমণের দায়িত্ব পেয়েছিলেন ফ্ল্যামেঙ্গোর  গাব্রিয়েল বারবোসা।

ঘরের মাঠে চিলিই চড়াও হয়ে খেলতে থাকে ব্রাজিলের ওপর। প্রথমার্ধে ৬৪% বল দখলে রাখে তারা। ব্রাজিলের গোলমুখে নেয়  ৭টি শট। অপরদিকে ব্রাজিল নেয় ৪টি, যার মাত্র ১টি ছিল লক্ষ্যে। বারবোসার বানিয়ে দেওয়া সহজ সুযোগও নষ্ট করেন নেইমার। খেলায় প্রাণ আসে দ্বিতিয়ার্ধে। ৬৪ মিনিটে নেইমারের সরাসরি শট চিলির গোলকিপার ক্লদিও ব্রাভোর হাত লেগে ছিটকে আসে। দুর্দান্ত শটে সেটাকে গোলে পরিণত করেন ৪৬ মিনিটে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের বদলি হিসেবে নামা এভারটন রিবেইরো। পুরো ম্যাচেই গোল আর হয়নি। তবে ম্যাচের শেষ ২০ মিনিট জুড়ে হয়েছে বিশৃঙ্খলা আর হলুদ কার্ডের ছড়াছড়ি। অতিরিক্ত সময়ে অহেতুক সময়ক্ষেপণের জন্য হলুদ কার্ড দেখেন নেইমারও। তবে চিলির মত শক্ত প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে ১-০ গোলের জয় নিয়ে ফেরা গেছে, হয়ত কার্ডের জন্য দুঃখ করবেন না পিএসজি তারকা। ৭ ম্যাচে ৭টিই জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে ‘সেলেসাও’ রা।

আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের পরবর্তী ম্যাচ একে অপরের বিরুদ্ধে। কোপা আমেরিকার রেশ না কাটতেই বাছাইপর্বেও একে অপরের মুখোমুখি হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ৫ সেপ্টেম্বর।

Advertisement
Share.

Leave A Reply