fbpx

বিশ্বে করোনা পরিস্থিতি : ক্যালিফোর্নিয়ায় লকডাউনেই ক্রিসমাস

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

করোনা ভাইরাসের প্রকোপ দিন দিন বেড়েই চলেছে। একের পর এক তান্ডব চালিয়ে যাওয়া এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত বিশ্বে সংক্রমিত হয়েছেন প্রায় ৬ কোটি ৮০ হাজার মানুষ। আর প্রাণ হারিয়েছেন ১৫ লাখ ৫০ হাজারের বেশি মানুষ।

করোনা সংক্রমণ সম্পর্কিত পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৬ কোটি ৭৯ লাখ ৩৮ হাজার ৯৯৫ জন। একই সময় নাগাদ বিশ্বে করোনায় মোট মারা গেছেন ১৫ লাখ ৫০ হাজার ২৬৩ জন। আর এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪ কোটি ৭০ লাখ ২৩ হাজার ৫৭৫ জন।

এই মহামারীকে সামাল দিতে নাকানিচুবানি খেতে হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে। ফলে দেশটিতে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও হু হু করে বাড়ছে। দেশটিতে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৫৩ লাখ ৬৯ হাজার ৪৬ জন। আর মারা গেছেন ২ লাখ ৯০ হাজার ৪৪৩ জন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৮৯ লাখ ৮২ হাজার ২৪৬ জন।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দেশটির ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের অধিকাংশ এলাকায় নতুন করে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানের ৪ কোটি বাসিন্দার ৮৫ শতাংশই এখন ঘরে থাকার নির্দেশ পেয়েছেন। অন্তত তিন সপ্তাহ তাঁরা এই আদেশের আওতায় থাকবেন।

দ্যা নিউওয়ার্ক টাইমস জানিয়েছে, ক্যালিফোর্নিয়ার ৮৫ শতাংশ মানুষই এখন লকডাউনের আওতায় রয়েছেন। এ অবস্থার মধ্যেই তাঁদের ক্রিসমাস পালন করতে হবে। পাশাপাশি অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে। এমনকি বড়দিনের উৎসবের সময় পরিচিতজনদের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য বাইরে না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

মূলত রবিবার দেশটিতে রেকর্ডসংখ্যক মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এমন অবস্থায় দেশটির সবচেয়ে জনবহুল অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ায় নতুন করে লকডাউনের মতো ব্যবস্থা নেওয়া হলো। তবে পুরো অঙ্গরাজ্যে একসঙ্গে লকডাউন দেওয়া হয়নি। ধাপে ধাপে দেওয়া হচ্ছে। শুরুতেই অঙ্গরাজ্যটির দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে এ পদক্ষেপ নেওয়া হলো।

ধীরে ধীরে রাজ্যটির অন্য অংশগুলোতেও একই পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সান ফ্রান্সেসকোতেও লকডাউন শুরু হয়েছে। শুধু তাই নয়, নগর কর্তৃপক্ষ সেখানে আলাদা কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।

অন্যদিকে বরাবরের মতোই সংক্রমণ তালিকার ২য় স্থানে আছে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম দেশ ভারত। এখন পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৯৭ লাখ ৩ হাজার ৯০৮। আর প্রাণ হারিয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার ৯৯৪ জন।

ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে তৃতীয় অবস্থানে আছে ব্রাজিল। সেখানে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৬৬ লাখ ২৮ হাজার ৬৫। আর করোনায় মারা গেছেন ১ লাখ ৭৭ হাজার ৩৮৮ জন।

তালিকার চতুর্থ স্থানে রাশিয়া, পঞ্চম ফ্রান্স, ষষ্ঠ ইতালি, সপ্তম যুক্তরাজ্য,অষ্টম স্পেন, নবম আর্জেন্টিনা এবং দশম স্থানে আছে কলম্বিয়া। এই তালিকায় বাংলাদেশের স্থান ২৬তম।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি দেশটিতে করোনায় প্রথম রোগীর মৃত্যু হয়। কিন্ত তার ঘোষণা আসে ১১ জানুয়ারি।

চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে বিভিন্ন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে।

এরপর চীনের বাইরে ফিলিপাইনে গত ২ ফেব্রুয়ারি করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গত ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারী হিসেবে ঘোষণা করে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply