নয়াদিল্লিতে আজ মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) বৈঠকে বসছেন বাংলাদেশ ও ভারতের পানি সচিব। বৈঠকে বাংলাদেশ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার ও ভারতের পানি সচিব পঙ্কজ কুমার দুই দেশের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করবেন। প্রতিবেশি দুই দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহমান অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন প্রসঙ্গ নিয়ে বৈঠকে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সূত্র।
সোমবার (১৫ মার্চ) পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের পানি সচিব বৈঠকের জন্য দিল্লিতে আছেন। ছয়টি নদীর পানি বণ্টন সংক্রান্ত সমস্যা এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে।’
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তিতে ঢাকা ও দিল্লি বহুল আলোচিত নদী তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তিতে সই করতে ব্যর্থ হয়। এরপর ২০১৯ সালে ছয়টি ছোট নদী – মনু, মুহুরী, খোয়াই, গোমতি, ধরলা ও দুধকুমারের পানি বণ্টন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। দুই দেশের ৫৪টি যৌথ নদী আছে। এর মধ্যে, ১৯৯৬ সালে গঙ্গা ও ২০১৯ সালে ফেনী নদীর পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘তিস্তা চুক্তি চূড়ান্তই ছিল। সভায় যারা উপস্থিত ছিলেন তারা প্রতিটি পৃষ্ঠায় সই দিয়েছিলেন। আমরা জানি কেন তখন এটি সই হয়নি। ভারত বারবার বলেছে যে তারা এই চুক্তির সঙ্গে আছে। আমরা দুই দেশের মধ্যে সব বৈঠকেই বিষয়টি উত্থাপন করেছি।’
তিনি আরও জানান, শুধু তিস্তা নয়, দুই দেশের সরকার আরও ছয় নদীর পানি বণ্টন নিয়ে কাজ করছে।
বৈঠক সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এরইমধ্যে দুই দেশের পানি মন্ত্রণালয়ের সচিব পর্যায়ের বৈঠকের জন্য এ বছরের জানুয়ারিতে টেকনিক্যাল কমিটি বৈঠক করে পানি প্রবাহের তথ্য বিনিময় করেছে।
সূত্রে আরও জানা যায়, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবর্ষ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী ২৬-২৭ মার্চ ঢাকা সফর করবেন। এর আগে তাই আজকের দুই দেশের পানি সচিব পর্যায়ের এই বৈঠক গুরুত্ববাহন করছে।