fbpx

ব্যাংকগুলোকে নতুন নীতিমালায় লভ্যাংশ ঘোষণার নির্দেশ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

করোনার কারণে দেশে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকে বার্ষিক লভ্যাংশ (ডিভিডেন্ট) ঘোষণার নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। ফলে মূলধন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ১৫ থেকে নগদসহ সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রভিশন সংরক্ষণসহ অন্য ব্যয় মেটানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পূর্বে ডেফারেল সুবিধার অধীনে নয় বা বিবেচ্য পঞ্জিকাবর্ষে এরূপ কোনো ধরনের ডেফারেল সুবিধা গ্রহণ ছাড়া যেসব ব্যাংক ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের বিপরীতে ২.৫ শতাংশ ক্যাপিটাল কনজারভেশন বাফারসহ ন্যূনতম ১৩.৫ শতাংশ সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ মূলধন সংরক্ষণ করতে সক্ষম হবে, তাদের বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতিক্রমে সামর্থ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ ১২.৫% নগদসহ মোট ২৫% ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারবে।

আর যে সব ব্যাংক ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের বিপরীতে ক্যাপিটাল কনজারভেশন বাফারসহ ন্যূনতম ১১.৮৭৫% মূলধন সংরক্ষণ করতে সক্ষম হবে, সে সব ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনক্রমে তাদের সামর্থ্য অনুসারে সর্বোচ্চ ৭.৫% নগদসহ ১৫% ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারবে। তবে এক্ষেত্রেও প্রভিশন সংরক্ষণসহ অন্য ব্যয় মেটানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পূর্বে ডেফারেল সুবিধার অধীনে নয় বা বিবেচ্য পঞ্জিকাবর্ষে এরূপ কোনো ধরনের ডেফারেল সুবিধা গ্রহণ ছাড়ার শর্ত থাকতে হবে।

আর যে সব ব্যাংকের মূলধন সংরক্ষণের পরিমাণ ১১.৮৭৫% এর কম হবে সে সব ব্যাংকের ডিভিডেন্ড ঘোষণার ক্ষেত্রে অনুচ্ছেদ খ (৩) এ উল্লিখিত পরিমাণ অনুসৃত হবে।

প্রভিশন সংরক্ষণসহ অন্য ব্যয় মেটানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বিবেচ্য পঞ্জিকাবষের্র জন্য গৃহীত বা এর আগে গৃহীত ডেফারেল সুবিধা বাদে ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের বিপরীতে যে সব ব্যাংকের মূলধন ক্যাপিটাল কনজারভেশন বাফারসহ ন্যূনতম ১২.৫% বা তার বেশি হয়, সে সব ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনক্রমে সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ নগদসহ ১২ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারবে।

প্রভিশন সংরক্ষণসহ অন্য ব্যয় মেটানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বিবেচ্য পঞ্জিকাবষের্র জন্য গৃহীত বা এর আগে গৃহীত ডেফারেল সুবিধা বাদে ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের বিপরীতে যে সব ব্যাংকের মূলধন ক্যাপিটাল কনজারভেশন বাফারসহ ন্যূনতম ১১.৮৭৫% থেকে অনূর্ধ্ব ১২.৫% হয়, সে সব ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনক্রমে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ নগদসহ মোট ১০ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারবে।

প্রভিশন সংরক্ষণসহ অন্যান্য ব্যয় মেটানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বিবেচ্য পঞ্জিকাবষের্র জন্য গৃহীত বা এর আগে গৃহীত ডেফারেল সুবিধা বাদে ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের বিপরীতে সে সব ব্যাংকের ন্যূনতম মূলধন ক্যাপিটাল কনজারভেশন বাফারসহ অন্যূন ১০.৬২৫ শতাংশ থেকে অনূর্ধ্ব ১১.৮৭৫ শতাংশ হয় সে সব ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনক্রমে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক মূলত ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশ জারি করেছে। ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত  সমাপ্ত বছরের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণার ক্ষেত্র হতে সব তফসিলি ব্যাংকের জন্য এই নীতিমালা  প্রযোজ্য হবে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply