করোনাভাইরাসে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন উপসর্গ। সেই ধারাবাহিকতায় এবার মানুষের মনে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। পার্শবর্তী দেশ ভারতে এরই ভেতর বেশ কয়েকটি রাজ্যে এই ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। আমাদের দেশেও এই ভাইরাসের অস্তিত্বের কথা শোনা যাচ্ছে। যদিও এখন পর্যন্ত সঠিক প্রমাণ মেলেনি। কিন্তু এরই ভেতর সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সম্পর্কে নানা মিথ্যা রটণাও রটছে। যা নিয়ে বিভ্রান্তি বাড়ছে সাধারণ মানুষের মনে। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে ছোঁয়াচে বলে প্রচার চলছে। এমনকি, এটি পশুদের থেকে ছড়াচ্ছে বলেও দাবি করা হচ্ছে।
চিকিৎসকের মতে, ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস মোটেও ছোঁয়াচে নয়। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলেই এই সংক্রমণ দেখা দিতে পারে। এমনকি, পশুদের থেকেও মানুষের দেহে ছড়াতে পারে না।
অক্সিজেন সরবরাহের সময় ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ছড়াচ্ছে বলে নেটমাধ্যমে যে প্রচার চলছে, তাকেও ভিত্তিহীন বলছেন চিকিৎসকেরা।
সাধারণত খাবার, মাটি এবং বাতাস থেকেই এই সংক্রমণ মানুষের শরীরে ছড়ায়। করোনা তাছাড়া রক্তে চিনির মাত্রা যদি নিয়ন্ত্রণে না থাকে বা প্রয়োজনের তুলনায় বেশি স্টেরয়েড নিলে ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়ে। মূলত নাক ও চোখের মাধ্যমেই এই সংক্রমণ শরীরে প্রবেশ করে।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকোরমাইকোসিস একটি বিরল ফাঙ্গাল সংক্রমণ৷ এটি কোভিড রোগীর শরীরে ধরা পড়লে চুয়ান্ন শতাংশ মৃত্যুর আশঙ্কা থাকে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা৷ কোভিড সংক্রমণ থেকে রোগী সুস্থ হয়ে উঠলেও তার রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কমে যায়। তখনই এই জাতীয় ছত্রাক শরীরে বাসা বাধে।