fbpx

ভারতের করোনা : দিল্লিতে মানুষ শান্তিতে মরতেও পারছে না

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ভারতে করোনায় প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যু সংখ্যা। হুহু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা, সেই সাথে দেখা দিয়েছে চিকিৎসা ব্যবস্থার চরম সংকট। ভীষণ অসুস্থতা নিয়েও হাসপাতালের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হচ্ছে একটু সেবা পাওয়ার জন্য। মিলছে না। খালি নেই বেড, নেই অক্সিজেন, ওষুধ ও পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মী।

দিল্লিতে হাসপাতালগুলোতে রোগী ও স্বজনদের হাহাকার। তীব্র শ্বাস কষ্ট নিয়ে অক্সিজেন ছাড়াই পড়ে আছেন শতশত রোগী। আর বাদে বাদেই স্বজন হারানো কান্নায় ভারী হয়ে উঠছে আকাশ। বেঁচে থাকার আকুতি আর চোখের সামনে প্রিয়জনকে চিকিৎসা ছাড়াই চলে যেতে যাওয়ার কষ্টের বোঝা বাড়ছে প্রতি মুহূর্তে।

ভারতের করোনা : দিল্লিতে মানুষ শান্তিতে মরতেও পারছে না

হাসপাতালে ঠাঁই হচ্ছে না চিকিৎসার জন্য।
ছবি: সংগৃহীত

দিল্লির একটি শ্মশানে কাজ করেন চিরঞ্জীব। সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে তিনি জানান, ‘ এমন ভয়ংকর পরিস্থিতি কখনও দেখিনি। বিশ্বাসই হচ্ছে না, ভারতের রাজধানীতে রয়েছি। মানুষ অক্সিজেন পাচ্ছে না। পশুর মতো মরে পরে আছে। এত মানুষ মারা যাচ্ছে, সৎকার করার জন্যও কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না।‘

শ্মশানের বাইরে দাদার সৎকারের জন্য অপেক্ষা করছিলেন শিবাঙ্গী। অক্সিজেনের জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। তিনি বলেন ‘ কিছুই করতে পারিনি। আমি জানি না সরকার কি ঘুমাচ্ছে না কী করছে? আমি একেবারই হতাশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার একেবারই ব্যর্থ। দিল্লিতে কেউ বাঁচতে পারবে না। এমনকি এক জন মানুষ এখানে শান্তিতে মরতেও পারবে না।‘

শিবাঙ্গী জানান, অক্সিজেনের অভাবেই মারা গেছেন তার দাদা।

এদিকে, হাসপাতালগুলোতে উপচে পড়া ভিড় সামাল দিতে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। যতটুকু সামর্থ আছে তাই নিয়েই প্রাণ বাঁচাতে ক্লান্তিহীন ছুটছেন তারা।

দিল্লির মেন্ডামেড হাসপাতালের চিকিৎসক ড. তারকিম হায়দার বলেন. ‘ প্রায় এক সপ্তাহ ধরে আমরা নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছি। আমাদেরও কান্না পায়, কারণ আমরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা রোগীদের দিতে পারছি না।’

ভারতের করোনা : দিল্লিতে মানুষ শান্তিতে মরতেও পারছে না

তিল ধারণের জায়গা নেই হাসপাতাল গুলোতে।
ছবি: বিবিসি

সরকারি হিসেব বলছে. দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ লাখ ৮৬ হাজার মানুষ। তবে সমালোচকরা বলছেন, এই সংখ্যা আরও বেশি।

Advertisement
Share.

Leave A Reply