fbpx

ভারত থেকে অস্ট্রেলিয়া ফিরলে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে, কারাদণ্ড ৫ বছরের

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

করোনাভাইরাসের এই মহামারির মধ্যে ভারত থেকে অস্ট্রেলিয়া যাতায়াতের বিষয়টিকে সাময়িকভাবে অবৈধ ঘোষণা করেছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। এই প্রথম অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকদের ভারত থেকে দেশে ফেরার বিষয়কে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। এমনকি, ভারত থেকে এখন অস্ট্রেলিয়ায় যদি কোন নাগরিক ফেরেন, তাহলে তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা জরিমানার মুখে পড়তে হবে। এর আগে, এ সপ্তাহের শুরুর দিকে ভারত থেকে সব ফ্লাইট নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে অস্ট্রেলিয়া। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে ভারতে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক রয়েছেন নয় হাজার। তাদের মধ্যে ছয়শ’ জন রয়েছেন করোনার ঝুঁকির মধ্যে। তাই ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের কোয়ারেন্টিনে রাখার অনুপাতের ভিত্তিতে অস্ট্রেলিয়া সরকার এ নির্দেশনা জারি করেছে। আগামী সোমবার থেকে এ নিয়ম কার্যকর করা হচ্ছে। মূলত আগামী ১৪ দিনের মধ্যে ভারত থেকে অস্ট্রেলিয়া যারা ফেরার তারিখ ঠিক করেছিলেন, তাদের জন্য এ নিয়ম প্রযোজ্য হবে। আর এ নিয়ম ভঙ্গকারীদের সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড অথবা ৬৬ হাজার অস্ট্রেলিয় ডলার জরিমানা অথবা উভয় শাস্তিও জারি করা হতে পারে। পরবর্তীতে, আগামী ১৫ মে এ সিদ্ধান্ত আবারো পর্যালোচনা করা হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয় সূত্র।

অস্ট্রেলিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী গ্রেগ হান্ট এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘সরকার এ সিদ্ধান্ত হালকাভাবে নেয়নি। এই সিদ্ধান্ত অস্ট্রেলিয়ার জনস্বাস্থ্য ও কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থার স্বচ্ছতা রক্ষায় বেশ গুরুত্বপূর্ণ। অস্ট্রেলিয়ার কোয়ারেন্টিন কেন্দ্রগুলোতে করোনা রোগীর সংখ্যা এখন ব্যবস্থাপনাযোগ্য স্তরে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।’

এদিকে, অস্ট্রেলিয়া সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরূপ প্রতিক্রিয়াও দেখা গেছে। দেশটির ভায়োম শারমার নামের এক চিকিৎসক এবিসি নিউজকে বলেছেন, ‘সরকারের এ সিদ্ধান্তটি সামঞ্জস্যহীন। ভারতে আক্ষরিক অর্থেই আমাদের পরিবারের সদস্যদের মৃত্যু হচ্ছে। তাদেরকে সেখান থেকে বের করে আনার কোন উপায় নেই। এই সিদ্ধান্ত সরকারের একটি বেপরোয়া মনোভাবের প্রকাশ।’

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ সপ্তাহে ভারতে কোভিড-১৯ এ মৃত্যু প্রায় দুই লাখ ছাড়িয়ে গেছে। আর এ ভাইরাসে শনাক্ত পৌঁছে গেছে ১ কোটি ৯০ লাখের কাছাকাছি। আর ভারতে করোনাভাইরাসের নতুন যে স্ট্রেইন পাওয়া গেছে, তা দেশটিতে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন রাজনৈতিক শোভাযাত্রা ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে গেছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার সরকারের নতুন এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থাগুলো সমালোচনা করে বলেছে, সরকারের শাস্তি দেওয়ার পদক্ষেপ না নিয়ে বরং কোয়ারেন্টিনে থাকার ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করার দিকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
Advertisement
Share.

Leave A Reply