বর্তমানে ঘুম কম হওয়া যেন বেড়ে গেছে। একটা নির্দিষ্ট বয়সের পরে ঘুম কম হওয়া স্বাভাবিক ধরে নেওয়া হয়। কিন্তু এখন অল্প বয়সীদের ভেতরেও ঘুম কম হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। আর আমাদের শারীরিক অসুস্থতার সাথে কম ঘুম হওয়ার সংযোগ রয়েছে। কম ঘুমের কারণে ওজনও বাড়তে শুরু করে। এছাড়া মনঃসংযোগের সমস্যা হয়, রক্তচাপ, হৃদরোগের আশঙ্কা বাড়ে।
ঘুম কম হওয়ার সমস্যা
১। ঘুম কম হলে অবসাদ বাড়ে, মনঃসংযোগ কমে যায়।
২। নিয়ম করে ৭–৮ ঘণ্টা ঘুম না হলে ধৈর্য্য কমে যায়, মেজাজ চড়ে যায়।
৩। ঘুমের মধ্যে গ্রোথ হরমোন বেশি নিঃসৃত হয়। তাই শিশুরা কম ঘুমালে তারা ঠিকমতো বেড়ে ওঠে না।
৪। ঘুম কম হলে রক্তচাপ বেড়ে যায়, হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে, স্থুলতার হার বেড়ে যায়।
ভালো ঘুমের টিপস
১। প্রত্যেক দিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়া ও ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করলে, ঘুমের সমস্যা কমে যায়।
২। ঘুমাতে যাবার অন্তত দেড়-দু’ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নেওয়া উচিত।
৩। সন্ধ্যার পর চা, কফি পান করলে সহজে ঘুম আসে না।
৪। নিয়ম করে ব্যায়াম করলে ভাল ঘুম হয়।
৫। ঘুম কম হলেও ঘুমের ওষুধ খাবেন না।
৬। ঘুমোতে যাবার আগে হালকা সুতি পোশাক পরা উচিত।
৭। যদি মাস খানেক বা তারও বেশি সময় ধরে ঘুমের অসুবিধে চলতে থাকে, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।