fbpx

ভাসানচরে জন্ম নিল প্রথম শিশু

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

গেল সপ্তাহে রোহিঙ্গাদের এক দল নোয়াখালীর হাতিয়া দ্বীপের বুকে জেগে ওঠা ভাসানচর দ্বীপে আশ্রয় নেয়।আর এখন সেখানে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের মধ্যে চলছে উৎসবের আমেজ। কেননা রাবেয়া বেগমের (২০) কোল জুড়ে জন্ম নিয়েছে এক নবজাতক শিশু। ভাসানচর দ্বীপে এটি প্রথম  কোনো শিশুর জন্ম।

শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছেলে সন্তান প্রসব করেন রাবেয়া।

জানা গেছে, রাবেয়া ভাসানচরের সাত নম্বা ক্লাস্টারের আট নম্বর হাউজের আবুল কাশেম হাসানের স্ত্রী।

প্রসব ব্যথা শুরু হলে প্রথমে তাকে নৌ-অ্যাম্বুলেন্সে ভাসানচর থেকে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়।

হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য জরুরি বিভাগের ডাক্তার বিমান চন্দ্র আচার্য জানান, রাবেয়া ও তার নবজাতক সন্তান দুজনই সুস্থ রয়েছে।

এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার লিটন চৌধুরী বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে রাবেয়াকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা স্বাভাবিক ছিল না। অনেক চেষ্টার পর শুক্রবার সকালে তাকে নরমাল ডেলিভারি করানো হয়। পরে নৌ-অ্যাম্বুলেন্সে সকালে তাকে ভাসানচর পৌছে দেওয়া হয়।

রাবেয়ার সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, ভাসানচরে আসার পর থেকে আমি সন্তান সম্ভাবনা হওয়ায় অনেক চিন্তিত ছিলাম। প্রতিনিয়ত ভাসানচরে হাসপাতাল-১ এর ডাক্তারদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি। এখানকার ডাক্তাররা খুবই আন্তরিক। আল্লাহর রহমতে আমরা মা ও ছেলে ভালো আছি।

অন্যদিকে ভাসানচর ৪০ শয্যা হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা ডাক্তার মাহতাব উদ্দিন বলেন, ভাসানচরে যে মানের হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে তাতে আমরা রাবেয়ার সন্তান প্রসবের চিকিৎসা দিতে পারতাম। কিন্তু আমাদের কাছে গর্ভবতী মায়ের ওষুধ ছিল না। তাই আমরা তাকে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে ২০১৭ সালে বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন কাশেম ও রাবেয়া। গত ৪ ডিসেম্বর তারা স্বেচ্ছায় নোয়াখালীর ভাসানচরে আশ্রয় নেয়।

Advertisement
Share.

Leave A Reply