পরিবহন শ্রমিকদের দাবির মুখে ভাড়া বাড়ানো হলেও সেটি জনগণের ‘সহনীয়’ পর্যায়ে থাকবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সরকার সেদিকে দৃষ্টি রাখবে বলেও জানান তিনি।
শনিবার (৬ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে এই আশ্বাস দেন তিনি।
ডিজেলের দাম বাড়ানোর পর সরকারের আহ্বান উপেক্ষা করে পরিবহন মালিকরা ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ায় তিনি হতাশা ব্যক্ত করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘লন্ডনে অবস্থানরত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিজনিত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধি এবং প্রতিবেশী দেশে জ্বালানি পাচার রোধে সরকার অনিচ্ছা স্বত্বেও ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য পুনঃনির্ধারণ করেছে। তবে এক্ষেত্রে শেখ হাসিনা সরকার সবসময়ই জনস্বার্থের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে।’
বিআরটিএর সঙ্গে আগামীকাল বৈঠক প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বৈঠকে সকলের সঙ্গে আলাপ- আলোচনা করে জনগণের উপর বাড়তি চাপ যেন সহনীয় পর্যায়ে থাকে, সে ব্যাপারে ইতিবাচক উদ্যোগ ও প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।’
ডিজেলের দাম বৃদ্ধির কারণে পণ্যমূল্যের দাম যেন না বাড়ে, সে বিষয়েও সংশ্লিষ্টদের হুঁশিয়ার করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘মূল্য সমন্বয়ের এই অজুহাতে কেউ যেন অন্যায়ভাবে দ্রব্যমূল্য ও পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি করতে না পারে সে ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাসহ সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।’
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়ানোর পর শুক্রবার থেকে ধর্মঘটের ঘোষণা দেয় পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সংগঠনগুলো।