মশা নিয়ন্ত্রণে কীটতত্ত্ববিদদের পরামর্শে টোটাল সিস্টেম পরিবর্তন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।
৮ মার্চ সোমবার উত্তরের কয়েকটি এলাকায় মশা নিধন কর্মসূচী পরিদর্শণ শেষে একথা বলেন তিনি।
মেয়র বলেন, ডিএনসিসির দশটি অঞ্চলের ৫৪টি ওয়ার্ডে সকালে মশার লার্ভিসাইড এবং বিকেলে এডাল্টিসাইড ওধুষ দেওয়া হতো। কিন্তু কীটতত্ত্ববিদদের সাথে কথা বলে তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী মশক নিধনের টোটাল সিস্টেমটিকে প্রথমবারের মতো পরিবর্তন করা হয়েছে।
কম সময়ের মধ্যে মশা নিধনে নতুন পদ্ধতি পরিচালনা করা কষ্টসাধ্য উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘প্রতিদিন দশটি অঞ্চল নয়, অঞ্চলভিত্তিক মশক নিধন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে মশার প্রজননস্থলের সর্বত্র ‘টোটাল সুইপিং’ করা হচ্ছে। দীর্ঘস্থায়ী ফলের জন্য স্বাস্থ্য বিভাগ, প্রকৌশল বিভাগ ও বর্জ্য বিভাগ একসাথে কাজ করছে।’
খাল পরিষ্কার প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, ‘খাল পরিষ্কার রাখতে নগরবাসীকে ও এগিয়ে আসার অনুরোধ করছি। সিটি করপোরেশন পরিষ্কার কার্যক্রম পরিচালনা করার পর খালের ভেতর আপনারা কোন আবর্জনা ফেলবেন না। খালের পানি যত বেশি প্রবাহমান থাকবে মশার লার্ভা তত কম হবে।’
মশক নিধন অভিযান পরিচালনার সময় মশার লার্ভা ও অপরিষ্কার থাকায় কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করে ডিএনসিসি। কারখানার ভেতর মশার লার্ভা পাওয়ায় মিরপুরের মিল্কভিটার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এছাড়া অন্য ৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৬১ হাজার টাকা জরিমানা করে ডিএনসিসি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।