fbpx

মানুষের সেবা ও বেসরকারি চিকিৎসকদের স্বার্থ নিশ্চিত করবে বিএনজিডিএ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ নন-গভমেন্ট ডক্টরস এসোসিয়েশন বিএনজিডিএ কাজ করবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটির সভাপতি ডা. খালেদ শওকত আলী।

একইসঙ্গে বেসরকারি চিকিৎসকদের নানাবিধ সমস্যা চিহ্নিতকরণ এবং তা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজতে ২০২০ সালে ডা. ফারহান সাদিক খানের উদ্যোগে ডা. খালেদ শওকত আলী ও ডা. শাহেদ হায়দার চৌধুরীর দিক নির্দেশনায় একদল তরুণ চিকিৎসকের হাত ধরে গঠন করা হয় Bangladesh Non-Govt. Doctors’ Association (BNGDA)।

সংগঠনটির সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে গতবছরের ১৭ই জুন ডা. দেবদাস পালকে আহ্বায়ক নির্বাচিত করে ২৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

বিএনজিডিএ গত ১ বছরে বেসরকারি ডাক্তারদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় বিএনজিডিএ’র কাজকে আরও বেগবান করার লক্ষ্যে গত ২৫শে মে বেসরকারি চিকিৎসকদের কর্ণধার ডা. খালেদ শওকত আলীকে সভাপতি এবং ডা. মো. ওবায়দুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে মোট ১৫ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করে। ডা. ফারহান সাদিক খানকে মুখপাত্র হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।

সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেনলে আনুষ্ঠানিকভাবে নবনির্বাচিত কমিটির ঘোষণা করা হয়।

সংগঠনের সভাপতি ডাক্তার খালেদ শওকত বলেন, ‘চিকিৎসকরা মানুষের জন্য কাজ করেন, চিকিৎসকরা যদি নিরাপদ, আর্থিকভাবে স্বচ্ছল জীবন যাপন করতে পারেন তাহলে মানুষকে ততবেশি সেবা দিতে পারবেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করা উচিত, চিকিৎসা সেবা ও মান উন্নয়নে কীভাবে আরও ভালো কাজ করা যায় সে ব্যাপারে তারা সরকারের সাথে কাজ করবেন।

বাংলাদেশের চিকিৎসাকে আন্তর্জাতিকমানে নিয়ে যেতে কাজ করার আশা প্রকাশ করে এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘করোনাকালীন দুর্যোগে সারা দেশ যখন অবরুদ্ধ, তখন সরকারির হাসপাতালের চিকিৎসকদের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা সাহসিকতার সাথে চিকিৎসা দিয়েছেন।

কোভিড-১৯ মত মহামারি সামাল দিতে গিয়ে ৯ জুন ২০২১ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ১৫৮ জন এর বেশি চিকিৎসক, যার বড় অংশই বেসরকারি চিকিৎসক। প্রায় সাড়ে চার হাজার বেসরকারি চিকিৎসক বিনা বেতনে ৩৩৩ এর জাতীয় টেলিমেডিসিন হটলাইনের মধ্যমে ২৪ ঘন্টা নিরবিচ্ছিন্ন সেবা দিয়েছেন।

এছাড়াও চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে HIV, Hepatitis, Tuberculosis সহ নানা ধরণের মারাত্নক সংক্রামক রোগের চিকিৎসা দিতে গিয়ে নিজেরাও আক্রান্ত হচ্ছেন এবং চিকিৎসায় ব্যবহৃত বিভিন্ন রেডিয়েশন ও কেমিকেলের সংস্পর্শে এসে নানাবিধ স্বাস্থ্যগত জটিলতায় ভুগছেন।

সংগঠনটির অন্যান্য সদস্যরা বলেন, এত কিছুর পরও আজও প্রতিষ্ঠিত হয়নি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ঝুঁকিভাতা, ক্ষতিপূরণ। যা আন্তর্জাতিক তথা বাংলাদেশ লেবার আইন ২০০৬ এর সুস্পষ্ট লংঘন। প্রণোদনা তো দূরের ব্যাপার, আমরা পাইনি আমাদের কাজের স্বীকৃতিটুকুও।

এমতাবস্থায় দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে সমুন্নত রাখতে এবং বেসরকারি চিকিৎসকদের বিদ্যমান সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ৫ দফা দাবি তুলে ধরেন।

বিএনজিডিএ এর ৫ দফা দাবিগুলো হলো:

১) বেসরকারি স্বাস্থ্য খাঁতের উন্নয়নকল্পে, বেসরকারি চিকিৎসকদের জন্য, বেসরকারি চিকিৎসক প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে একটি সুনির্দিষ্ট, যুগোপযোগী বেতন কাঠামো ও সার্ভিসরুল প্রণয়ন এবং দ্রুততম সময়ে তা বাস্তবায়ন করতে হবে।

২) করোনার মহামারীর সময় যে সকল প্রতিষ্ঠান চিকিৎসক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের বেতন বোনাস পরিশোধ করেনি অথবা আংশিক কর্তন করেছে তাদের বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গ্রহন এবং চিকিৎসকদের সমস্ত বকেয়া বেতন- বোনাস অনতিবিলম্বে পরিশোধ করতে হবে।

৩) কর্মক্ষেত্রে সকল চিকিৎসকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দ্রুততম সময়ে প্রণীত চিকিৎসা সুরক্ষা আইন এর বাস্তাবায়ন করতে হবে।

৪) বেসরকারী স্বাস্থ্য খাতের তদারকিতে বেসরকারি চিকিৎসক প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা,

৫) চিকিৎসকদের মধ্য হতে স্বাস্থ্যখাতে উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে বেসরকারি চিকিৎসকদের প্রণোদনা ও সুদমুক্ত বা স্বল্প সুদে বিশেষ ঋণ ব্যবস্থা চালু করতে হবে।

দাবিসমূহ অবিলম্বে বাস্তবায়নে জন্য বিএনজিডিএ প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply