১৩ হাজার ৫০০ টাকা করে পাবেন বিদেশ ফেরত প্রবাসীরা। করোনা মহামারির প্রভাবে চাকরি হারিয়ে দেশে আসা ২ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি এই বিশেষ ভাতা পাবেন।
এ জন্য ৪২৭ কোটি টাকার একটি প্রকল্প ২৮ জুলাই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় (একনেক) অনুমোদন করা হয়েছে।
শুধু ভাতাই নয়, পাশাপাশি তাদের দেওয়া হবে প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণ চলাকালেই এসব কর্মী মাসে মাসে সম্মানী পাবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রবাসীরা দেশে অর্থ পাঠান। করোনার কারণে তাদের অনেকে চাকরি হারিয়ে দেশে ফিরে এসেছেন। এত দিন তারা আমাদের দিয়েছেন। এবার আমরা তাদের দেব। যারা চাকরি হারিয়ে দেশে ফিরে এসেছেন, তাদের শোভন চাকরির ব্যবস্থা করা হবে।’
প্রত্যাগত অভিবাসী কর্মীদের অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রকল্পটির সিংহভাগ অর্থ, অর্থাৎ ৪২৫ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। গত ২৩ মার্চ বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে এ–সংক্রান্ত চুক্তি সই হয়েছে। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড প্রকল্পটি ২০২৩ সালের ডিসেম্বর নাগাদ বাস্তবায়ন করবে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এবং হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন থেকে পাওয়া তথ্যমতে, গত বছর জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এক বছরে মোট ৪ লাখ ৮ হাজার ৪০৮ জন প্রবাসী বাংলাদেশি দেশে ফিরে এসেছেন। তাদের মধ্য থেকে দুই লাখ কর্মীকে বাছাই করা হবে তাদের আগ্রহ, পারিবারিক অবস্থা, আর্থিক অবস্থা ও প্রয়োজনীয়তার নিরিখে। কর্মী বাছাইয়ে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে। এর বাইরে আরও ২৩ হাজার ৫০০ কর্মীকে বাছাই করে তাদের সরকারের বিভিন্ন সংস্থা থেকে সনদ দেওয়া হবে।