fbpx

মাস্ক না নিয়ে কেউ ঘর থেকে বের হতে পারবেন না: আইজিপি

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

দ্বিতীয় ধাপে মার্চ থেকে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়েছে। এরইমধ্যে সরকার বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্যবিধি মানার ১১ নির্দেশনাও দিয়েছে। মাস্ক না নিয়ে কোন মানুষ যেন ঘর থেকে বের না হয় সে বিষয়ে অনুরোধ জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক ‘আইজিপি’ বেনজীর আহমেদ। এসময় কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশও দেন তিনি।

১৮ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে করোনার দ্বিতীয় ধাপ মোকাবেলায় দেশব্যাপী পুলিশের উদ্যোগ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন আইজিপি ।

এছাড়া ২১ মার্চ থেকে বাংলাদেশ পুলিশের উদ্যোগে মাস্ক পরা উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি। এই কার্যক্রমের স্লোগান ‘মাস্ক পরা অভ্যাস, কোভিড মুক্ত বাংলাদেশ।’

পুলিশ প্রধান বলেন, পুলিশ জনগণের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন। পুলিশ সদস্যরা নিজেরা করোনায় মৃত্যুবরণকারীদের দাফন করেছেন। খাবার বিতরণ করেছেন। এ পর্যন্ত পুলিশের ৮৭ জন সদস্য করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন ২০ হাজারের বেশি সদস্য।

বড় রাজনৈতিক অনুষ্ঠান, ওয়াজ মাহফিলসহ লোক সমাগম হয় এমন অনুষ্ঠান গুলোতে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে জানিয়ে আইজিপি বলেন, কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানার পাশাপাশি বেপরোয়াভাবে মাস্ক ছাড়া ঘোরাফেরা করা যাবে না। না হলে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে যাবে ।

করোনা মহামারির দ্বিতীয় ধাপ মোকাবেলায় দেশব্যাপী পুলিশের নেয়া উদ্যোগ সমূহ

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বাংলাদেশ পুলিশের নির্দেশিকা (এসওপি) বিতরণ, পুলিশের লোগো সম্বলিত ফ্রি মাস্ক বিতরণ, করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণে উদ্বুদ্ধকরণ, সচেতনতামূলক মাইকিং, লিফলেট ও পোস্টার বিতরণ, সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণে ভূমিকা রাখা, করোনায় মৃত্যুবরণকারীদের দাফন, পুলিশের অব্যবহৃত স্থাপনা আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রূপান্তর।

ইমিগ্রেশন পুলিশের মাধ্যমে বিদেশ থেকে আগত ব্যক্তিদের শনাক্তকরণ ও কোয়ারেন্টাইনে প্রেরণ, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর মাধ্যমে করোনা সংক্রান্ত আগত কলের সাড়াদান, পুলিশ হাসপাতালে পিসিআর ল্যাব স্থাপন করে কোভিড পরীক্ষা ও চিকিৎসা প্রদান, পুলিশ হাসপাতালে পুলিশ ব্যতীত অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠান ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের চিকিৎসা সেবা প্রদান।

Advertisement
Share.

Leave A Reply