fbpx

মিরপুরে সাদমানের সঙ্গী নাঈম, জয় নাকি শান্ত!

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হতে আর মাত্র কয়েক ঘন্টা বাকি। অথচ, বাংলাদেশ দল এখনও নিশ্চিত নয় একাদশ নিয়েই। তাসকিন আহমেদ পুরোপুরি ফিট না থাকার কারণে তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে শেষ অব্দি। তবে, একাদশ কেমন হতে পারে সেই ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। সাকিব আল হাসান ফেরায় পাকিস্তানের বিপক্ষে সাত ব্যাটসম্যান এবং চার বোলার নিয়ে মাঠে নামতে চায় বাংলাদেশ।

সাকিব দলে থাকলে একাদশ নির্বাচন কতটা সহজ হয়ে যায়, এটা অধিনায়ক নিজেও করেছেন স্পষ্ট; ভক্ত-সমর্থকদেরও অজানা থাকার কথা নয়। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের উপস্থিতিতে একজন বাড়তি ব্যাটসম্যান কিংবা একজন বাড়তি বোলার নিয়ে অনায়াসেই নামা যায় মাঠে। কিন্তু, টাইগারদের সমস্যাটা যে অন্য জায়গায়! ওপেনিংয়ে নেই পর্যাপ্ত ব্যাকআপ, যেই দুজন আছেন সম্ভাব্য বিবেচনায় তাদেরও টেস্ট ক্রিকেটে নেই খেলার অভিজ্ঞতা।

সাদমান ইসলামের সঙ্গী হিসেবে গত টেস্টে ছিলেন সাইফ হাসান। মিরপুর টেস্টে টাইফয়েডের কারণে দল থেকেই ছিটকে গেছেন এই ব্যাটসম্যান। তার জায়গায় একাদশে মাহমুদুল হাসান জয়কে নেয়া হবে নাকি নাঈম শেখকে এ নিয়ে আলোচনাও হচ্ছে বেশ। নাঈম এবং জয়কে কেনো নেয়া হয়েছে দলে সেটাও প্রেস কনফারেন্সে জানিয়েছেন অধিনায়ক, হাহাকার ঝড়েছে দেশে পর্যাপ্ত ব্যাকআপ না থাকার।

জয়কে দলে নেয়ার প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অধিনায়ক মুমিনুল বলেছেন, “তামিম ভাই নেই, তাই জয়কে ডাকা হয়েছে।” কিন্তু, ম্যাচ পূর্ববর্তী প্রেস কনফারেন্সে নাঈম শেখকে নিয়ে যখন প্রশ্ন করা হয়েছে তখন বাংলাদেশ ক্রিকেটের নির্মম সত্যটাই যেনো তুলে ধরলেন অধিনায়ক!

“সত্যি বলতে আমার ব্যাকআপ ওপেনার নেই। আমি এমন একজনকে চেয়েছি যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মধ্যে আছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করা যে কাউকেই আপনি নিয়ে আসবেন, তাও আবার কঠিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে, সামনে আবার নিউজিল্যান্ড সিরিজ! আপনার এমন কাউকেই দলে নেয়া উচিত, যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মধ্যেই আছে।”

অধিনায়কের কথাতেই স্পষ্ট আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার অভিজ্ঞতাকেই তিনি রাখছেন এগিয়ে। সেদিক থেকে ভাবলে নাঈম এবং জয় দুজনই আছেন টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেকের অপেক্ষায়। টি-টোয়েন্টিতে হঠাৎ করেই ওপেনিংয়ে নামিয়ে দেয়া হয়েছিল নাজমুল হোসেন শান্তকে, টেস্টেও যে তাকে নামিয়ে দেয়া হবে না সে কথাকে উড়িয়ে দেয়া মুশকিল। শান্তর যে আছে টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা!

যদি শান্ত ওপেন করেন, সেক্ষেত্রে হয়ত একাদশে দেখা যেতে পারে ইয়াসির আলীকেও। চট্টগ্রামে ছন্দেই ছিলেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। কিন্তু, রাসেল ডমিঙ্গো বরাবরই রাইটি-লেফটি কম্বিনেশনের কথা বলে এসেছেন। সেদিক থেকে ভাবলে মাহমুদুল হাসান জয়েরই অভিষেক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। শুক্রবার ব্যাটিং অনুশীলনের পাশাপাশি স্লিপে দাড়িয়ে ফিল্ডিংও করতে দেখা গেছে এই তরুণ খেলোয়াড়কে।

বোলিংয়ে ইবাদতের সঙ্গী হিসেবে দেখা যেতে পারে তাসকিন আহমেদকে। তাসকিনের ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত না হওয়া গেলেও খেলার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না ম্যানেজমেন্ট। আর, তাসকিন যদি খেলতে না পারেন, সেক্ষেত্রে অভিষেক হতে পারে রেজাউর রাজার, কিংবা একাদশে জায়গা পেতে পারেন খালেদ আহমেদও। আবু জায়েদ রাহির বাদ পড়ার সম্ভাবনাই কিছুটা বেশী, বলার মতো তেমন কিছুই যে করতে পারেননি চট্টগ্রামে!

Advertisement
Share.

Leave A Reply