fbpx

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে জাতিসংঘের কঠোর হুঁশিয়ারি

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

মিয়ানমারে বিক্ষোভকারীদের প্রতি কঠোর হলে সেখানকার সেনাবাহিনীকে ‘গুরুতর পরিণতি’ ভোগ করতে হবে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘ। পাশাপাশি অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ থামাতে মিয়ানমার সরকার যে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছে, তার নিন্দা জানিয়েছে এ সংস্থাটি।

১ ফেব্রুয়ারি থেকে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করেছে সেখানকার সেনাবাহিনী। আর মঙ্গলবার থেকে দেশটিতে দ্বিতীয় দফায় ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে শহরের বিভিন্ন জায়গায় সাঁজোয়া যান ও সেনা মোতায়েন করা হয়। এছাড়া বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালানোর খবরও পাওয়া গেছে।

এদিকে সেনাবাহিনীর এই উদ্যোগের বিষয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টিন শরণার বার্গনার। তিনি বলেছেন, “শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারকে অবশ্যই পুরোপুরি সম্মান করতে হবে”।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর উপ-কমান্ডার সোই উনের সঙ্গে কথা বলার ব্যাপারেও জানান তিনি। বলেন, ‘নেটওয়ার্ক ব্ল্যাকআউট করে দেওয়ায় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ খর্ব হবে। ’ এছাড়া এতে ব্যাংকিংসহ গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক খাতগুলো ক্ষতির মুখে পড়বে বলেও মত প্রকাশ করেন তিনি।

পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘ইন্টারনেট বন্ধ রাখলে অভ্যন্তরীণ উত্তেজনা বাড়বে। কাজেই এ বিষয়ে আমরা পরিষ্কারভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করছি।’

জাতিসংঘ মনে করছে, সেনাবাহিনী তাদের তল্লাশি ও আটক করার ক্ষমতার আইনি সীমাবদ্ধতাগুলো স্থগিত করার পর সেদিন রাতে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া উদ্দেশ্যমূলক।

এ প্রসঙ্গে স্থানীয় অ্যাসিসট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার গোষ্ঠী বলেছে, নির্বিচারে গ্রেফতারসহ অন্যায় তৎপরতার চালানোর জন্য ইন্টারনেট বন্ধ করে রাখা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

তারা জানিয়েছে, ১ ফেব্রুয়ারির সামরিক অভ্যুত্থানের দিন থেকে সোমবার পর্যন্ত ৪২৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply