fbpx

মিয়ানমারে পাঁচ গণমাধ্যমের লাইসেন্স বাতিল

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভের সংবাদ প্রকাশ রুখতে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকার পাঁচটি গণমাধ্যমের লাইসেন্স বাতিল করে দিয়েছে। এই পাঁচ গণমাধ্যম হলো- ডেমোক্র্যাটিক ভয়েস অব বার্মা (ডিভিবি), মিজিমা, খিট থিট মিডিয়া, মিয়ানমার নাউ এবং সেভেন ডে নিউজ।

দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম এমআরটিভির এক ঘোষণায় বলা হয়েছে, এসব সংবাদমাধ্যম আর কোনও মিডিয়া প্লাটফর্ম কিংবা মিডিয়া প্রযুক্তি ব্যবহার করে সম্প্রচার কিংবা লেখা বা কোনও তথ্য প্রকাশ করতে পারবে না।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশটির এইসব গণমাধ্যমে এই অভ্যুত্থান নিয়ে খবর প্রচার করা হয়। একইসঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ওপর সুরক্ষা বাহিনীর নির্মম অত্যাচারের প্রতিক্রিয়াও প্রকাশ করা হয়।

সোমবার সন্ধ্যায় লাইসেন্স বাতিলের আগে ‘মিয়ানমার নাউ’ এর কার্যালয়ে সেনা ও পুলিশ  বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালায়। তারা এই মিডিয়ার কম্পিউটার, সংবাদ কক্ষের ডাটা সার্ভার এবং অন্যান্য সামগ্রী জব্দ করে নিয়ে যায়। তবে ২৮ জানুয়ারি থেকেই মিয়ানমার নাউ কর্তৃপক্ষ ওই কার্যালয়টি খালি করে ফেলে।

এখন পর্যন্ত জান্তা সরকার এক হাজার আটশ বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে। যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন সাংবাদিকও রয়েছেন।

গেল সপ্তাহে একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সেনা সদস্যরা ডিভিবিতে কর্মরত কং মিয়াত হ্লাইং নামের এক সাংবাদিকের বাড়ি ঘিরে ফেলেছে। তিনি প্রতিবেশিদের কাছে নিজের বাড়ির বারান্দা থেকে সাহায্য চেয়ে চিৎকার করেন। সেখানে গুলির শব্দও শোনা যায়। পরে ওই সাংবাদিককে আটক করা হয়েছে বলে সংবাদ পাওয়া যায়।

এছাড়া দেশটিতে মার্কিন বার্তা সংস্থা এপির ফটোসাংবাদিক থেইন জাও সহ ছয় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে জনশৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। এই অভিযোগে তাদের তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।

লাইসেন্স বাতিল হওয়া সংবাদমাধ্যম ডিভিবি জানিয়েছে, লাইসেন্স বাতিল করায় তারা মোটেও অবাক হননি। তবে তারা স্যাটেলাইট টেলিভিশন এবং অনলাইনে সম্প্রচার চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক আয়ে চান নাইং বলেন, ‘আমরা সাংবাদিক এবং কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। কিন্তু বর্তমানে বিক্ষোভের সময় পুরো দেশই নাগরিক সাংবাদিকে পরিণত হয়েছে। ফলে তথ্যের প্রবাহ বন্ধ করার কোনও পথ সেনা কর্তৃপক্ষের নেই।’

Advertisement
Share.

Leave A Reply