fbpx

‘মুজিব চিরন্তন’ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement
শত শিশুর কণ্ঠে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হলো বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠান ‘মুজিব চিরন্তন’।
১৭ই মার্চ বুধবার, বিকেল সাড়ে চারটায় জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ‘মুজিব চিরন্তন’ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  প্রধান অতিথি ছিলেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, সম্মানিত অতিথি মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ। ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আরেক কন্যা শেখ রেহানা।
কোরআন তেলাওয়াত, গীতা, ত্রিপিটক ও বাইবেল পাঠের পর প্রদর্শিত হয় মুজিব শতবর্ষের থিম সং ও একটি ভিডিও অ্যানিমেশন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশ যে অবস্থানে পৌঁছেছে, সেখান থেকে সহজে নামানো যাবে না। তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ, আমরা এই করোনাভাইরাস মহামারির অভিঘাত সফলভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি। এখন শুধু আমাদের সামনে দিকে এগিয়ে যাওয়ার পালা। পিছনে ফিরে তাকানোর কোনো সুযোগ নেই।‘
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রতিজ্ঞা পুর্নব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সকল বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে এ দেশকে আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শোষণ-বঞ্চনামুক্ত, ক্ষুধা-দারিদ্র্য-নিরক্ষরতামুক্ত অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবোই, ইনশাআল্লাহ।’
বাংলাদেশের মানুষ অর্থনৈতিক মুক্তির প্রতীক্ষার প্রহর গুনছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ এমন এক সময়ে আমরা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করতে যাচ্ছি, যখন বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে মর্যাদাশীল উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হওয়ার চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে।‘
মহান মুক্তিযুদ্ধে এবং দেশ গড়ার কাজে যেসব দেশ এবং নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশকে সাহায্য করেছিলেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আজ আমরা স্বাধীনতার ৫০ বছর পার করছি। এ সময়ে রাজনীতিতে অনেক চড়াই-উৎরাই ঘটেছে। কিন্তু রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন কতটুকু হয়েছে তা ভেবে দেখতে হবে।‘
‘ব্যক্তির চেয়ে দল, দলের চেয়ে দেশ বড়’, রাজনীতির এই মূল আদর্শকে সামনে রাখার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, ‘কিছু সুবিধাবাদী লোক রাজনীতিটাকে পেশা বানিয়ে ফেলেছেন। রাজনীতি আর পেশা এক জিনিস নয়। পেশার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি নিজের ও পরিবার-পরিজনের জীবন-জীবিকা নির্বাহ করেন। আর রাজনীতি হচ্ছে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করার একটি মহান ক্ষেত্র।‘
রাজনীতিবিদদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘ব্যক্তিগত ও  পারিবারিক সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বা ভোগ-বিলাস সবকিছুকে প্রত্যাখ্যান করে বাঙালি ও বাংলাদেশের স্বার্থকেই জীবনের ব্রত হিসেবে নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। তার ১০১তম জন্মবার্ষিকীর এই দিনে রাজনীতিবিদদের প্রতি আহ্বান জানাবো, আসুন বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ ও কর্ম থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশ ও জনগণের সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করি।‘
অনুষ্ঠানের সম্মানিত অতিথি মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ বঙ্গবন্ধুকে আপসহীন নেতা বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে স্বাধীন করার লক্ষ্য নিয়েই রাজনীতি করেছেন। সে লক্ষ্যেই তিনি ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেছিলেন। তিনি ছিলেন একজন আপোসহীন নেতা।
করোনাকালে সহায়তার জন্য বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ বলেন, ‘করোনা ভাইরাস চলাকালে বাংলাদেশ মালদ্বীপকে যে ওষুধ ও খাদ্য সহায়তা দিয়েছে, তার জন্য মালদ্বীপ বাংলাদেশের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ থাকবে।’
দুই দেশ আগামীতে শক্তিশালী বন্ধুত্বের মধ্যে দিয়ে একে অপরকে বিভিন্নখাতে সহযোগিতা করবে বলে আশা প্রকাশ করেন মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি।
অনুষ্ঠানে চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইউশিহিদে সুগা, খ্যাতিমান সাংবাদিক মার্ক টালির শুভেচ্ছা জানানোর ভিডিও বার্তা প্রচার করা হয়।
প্যারেড স্কয়ারে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, মালদ্বীপের ফাস্টলেডি ফাজনা আহমেদ, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের স্ত্রী রাশিদা খানম, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, দেশি-বিদেশি আমন্ত্রিত অতিথি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, বিভিন্ন বাহিনী ও সংস্থা প্রধান, সামরিক ও বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
Advertisement
Share.

Leave A Reply