fbpx

মেসির ওজন ১২০০ কেজি, চড়া দামে বিক্রির আশা!

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ধুসর রঙের গরুটির নাম মেসি। রাজধানীর মোহাম্মদপুর সাদেক এগ্রো ফার্মের সবচেয়ে আলোচিত ও শক্তিশালী গরু মেসির ওজন ১২০০ কেজি। ফুটবলার মেসি যেমন আছেন চুড়ান্ত ফর্মে, তেমনি ব্রাম্মা ও শাহীওয়াল মিক্সড জাতের এই গরুটিও আছে একই রকম ফর্মে। ফার্মের মালিক এর দাম হাঁকিয়েছেন ২৫ লাখ টাকা।

সাদিক এগ্রো ফার্মটিতে আকারে সবচেয়ে বড় ও নজরকাড়া গরুটির নাম চার্লিন। এবারের ঈদে সবচেয়ে বড় গরুর মধ্যে ১৩০০ কেজি ওজনের চার্লিন প্রথম সারির বলে দাবি করছে ফার্মটির কর্মীরা। ইটালিয়ান ব্রিডের এই গরুটির দাম চাওয়া হচ্ছে ৪০ লাখ টাকা।

মেসির ওজন ১২০০ কেজি, চড়া দামে বিক্রির আশা!

নাকে পিতলের নথ পড়া চার্লিন ক্যামেরা দেখতেই নানারকম ভঙ্গি করে দেখালো তার সৌন্দর্যের ঢং।

বড় গরুদের মধ্যে আছে হলস্টার ফ্রিজিয়ান জাতের মি. টন টু ও মি. টন থ্রি নামের দুটি গরু। একটির ওজন ১১০০ কেজি ও অন্যটির ওজন ১২০০ কেজি। প্রতিটির দাম ধরা হয়েছে ১০ লাখ টাকা।

মেসির ওজন ১২০০ কেজি, চড়া দামে বিক্রির আশা!

হলস্টার ফ্রিজিয়ান জাতের গরুও বাজারে বেশ জনপ্রিয়।

খামারটিতে আছে সিন্ধি, ভুট্টি, নিলিরাবি, মুররা বাফেলো, আলবিনো, মীরকাদিমের হাশা প্রজাতির প্রায় ২ হাজার ২০০ গরু। কোরবানির বাজার গরম করতেই প্রস্তুত করা হয়েছে ওদের।

করোনা এবং লকডাউন দুই আপদে মাথা নষ্ট খামারিদের। লাভের গুড় ঘরে তুলতে না পারার আশঙ্কা করছেন খামার ব্যবসায়ীরা। ঈদের বাকি দুই সপ্তাহেরও কম সময়।

সাদেক এগ্রো ফার্মের মালিক ইমরান হোসাইন বিবিএস বাংলাকে বলেন, ‘খামারে এসেই গরু পছন্দ করতে চান বেশিরভাগ ক্রেতা। তবে করোনা পরিস্থিতি চিন্তা করে আমরা অনলাইনকেই বেশি প্রধান্য দিচ্ছি। তবে লকডাউনের পর থেকে আমাদের বিক্রি কমে গেছে। আমরা অন্তত ২ হাজার গরু বিক্রির আশা করছি।’

অনলাইনে কেনাবেচার নানারকম ভোগান্তির কথা উল্লেখ করে ফার্মটির মালিক আরও বলেন, ‘অনলাইনের প্রতি মানুষের এখনো অতো আস্থা তৈরি হয়নি। তাই অনলাইনে অর্ডার দেওয়ার পরেও খামারে এসে গরু দেখে যাচ্ছেন। পরে আবার কনফার্ম করছেন। আমরাও অনলাইন এবং অফলাইন দুইভাবেই বিক্রির প্রস্তুতি রেখেছি।’

ঢাকার আশেপাশের খামারগুলিতেও চলছে কোরবানি ঈদ উপলক্ষে চূড়ান্ত প্রস্তুতির কাজ। সাভারের শিকড় এগ্রো ফার্মে দেখা গেল ৮০০ কেজি ওজনের গয়াল বা বনগরু। রেয়ার কালেকশন দাবি করে ফার্মটির ব্যবস্থাপক এর দাম হাঁকিয়েছেন ৮ লাখ টাকা।

শিকড় এগ্রো ফার্মের ব্যবস্থাপক তানভীর হাসান বলেন, ‘আমরা দাবি করছি বন গরুর মধ্যে আমাদেরটাই সবচেয়ে বড়। বন গরু ছাড়াও বক্সার, রেয়ার বক্সার, মীর কাদিমের গরু, হরিনি গরুসহ নানা জাতের গরু আছে। আমাদের হাটে যেতে হবেনা এবার। বেশিরভাগ ক্রেতা খামারে এসে পছন্দ করে গরু কিনে নেন। একইসঙ্গে অনলাইনেও আমরা গরু বিক্রি করছি। চাইলে গরু বাসায় নিয়ে যেতে পারেন। অথবা ঈদের দিন সকালে নিলেও আমাদের কোন আপত্তি নেই। অনেকে আবার খামারেই জবাই করে মাংস নিয়ে যেতে চান, আমরা সেই ব্যবস্থাও রেখেছি।’

গরুর পাশাপশি কোরবানি উপলক্ষে ব্ল্যাক বেঙ্গল, রাম ছাগল, যমুনা পাড়ি জাতের ছাগলও পস্তুত করছেন খামাড়িরা। তবে সুদূর আরব থেকে আনা মরুভূমির জাহাজ উটের জনপ্রিয়তাও আছে কুরবানির হাটে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply