যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেই, তারাও পাবেন করোনা টিকা। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ এনআইডি ছাড়া টিকা দেওয়ার পদ্ধতির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের একটি পরামর্শ দিয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া, আগামী ৮ আগস্ট থেকে দেশে ১৮ বছর বয়সীরাও করোনা টিকা পেতে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে গতকাল শনিবার আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ নিজের ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন।
https://www.facebook.com/photo?fbid=383997013082350&set=a.361035045378547
আজ রবিবার (১ আগস্ট) প্রতিমন্ত্রী পলক সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘এনআইডি না থাকলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সুপারিশপত্র নিয়ে টিকাকেন্দ্রে গিয়ে টিকা দিতে পারবেন।‘
তিনি বলেন, ‘এনআইডি যাদের নেই, তাদের টিকা কীভাবে হবে এবং অনলাইনে নিবন্ধন করতে পারবেন না যারা, তারা কীভাবে টিকা পাবেন, সে বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় পরামর্শ দিয়েছেন।‘
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যাদের স্মার্টফোন নেই, ইন্টারনেট-সুবিধা অথবা প্রিন্টিংয়ের সুবিধা নেই, তারা কেন্দ্রে গিয়ে এনআইডি দেখালে সেখানে নিবন্ধন করে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এতে টিকার কার্ডও আলাদা করে নিতে হবে না। কেন্দ্রেই একটি কার্ড থাকবে।
কার্ডে উল্লেখ করা থাকবে নাম-ঠিকানা, টিকার তারিখ, কোন টিকা এবং পরবর্তী টিকার তারিখ। টিকা গ্রহণের পর কার্ড দেওয়া হবে। তবে এভাবেই টিকা দেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান জুনাইদ আহমেদ।
সাধারণত, করোনার দুই ডোজ টিকা নেওয়া হলে একটি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। এনআইডি ছাড়া টিকা নিলে তার সার্টিফিকেট পাওয়া যাবে কিনা, এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদেশ গমনকারী ব্যক্তিদের জন্য শুধু নয়, ভবিষ্যতের জন্যও প্রয়োজন এ সার্টিফিকেট। ডিজিটাল পদ্ধতিতে তা দেওয়া সম্ভব না হলে, যেভাবে অন্যান্য টিকার ক্ষেত্রে হার্ড কপি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়, সেভাবে হলেও দেওয়া উচিত।
উল্লেখ্য, গত ৭ ফেব্রুয়ারি দেশে গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথমে দেশে টিকা গ্রহণের সর্বনিম্ন বয়সসীমা ছিল ৫৫ বছর। পরে তা ৪০ বছর, এরপর তা ৩৫, পরবর্তীতে ৩০ ও এরপর এই বয়সসীমা ২৫ এবং সর্বশেষ তা কমিয়ে এখন ১৮ বছর করা হচ্ছে।