fbpx

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি সরকারের ওপর বাড়তি চাপ না : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বাংলাদেশীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি সরকারের ওপর বাড়তি চাপ না। তারা তাদের কাজ করেছে, আমরা আমাদের কাজ করব— এ মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন একটি ‘অপূর্ব’ চিঠি পাঠিয়েছিলেন। সেই চিঠিতে তিনি নতুন ভিসা নীতির কথা জানিয়েছিলেন।

আজ বৃহস্পতিবার (২৫ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ সব কথা বলেন।

ড. মোমেন বলেন, চিঠিতে ব্লিংকেন বলেছেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকারকে শক্তিশালী করতে এই নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ভিসা দেবে না এমন নীতি প্রণয়নের আগে সরকারকে গত ৩ মে জানিয়েছিল বাইডেন প্রশাসন।

এ কথা সরকার এত দিন কেন জানাল না— এ প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের নীতি আমরা জানাব কেন?’

মন্ত্রী বলেন, নীতির মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যারা বাধা দেবে তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারবে। প্রধানমন্ত্রী যা চাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্যে তা জোরালোভাবে এসেছে। আওয়ামী লীগ সরকার এ দেশে সব সময় গণতন্ত্রের ধারক ও বাহক। গত ১৪ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার আছে বলেই একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া চলছে। দেশে হাজার হাজার নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচনের মাধ্যমেই সরকার এসেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সাল থেকে গণতান্ত্রিকভাবেই দেশ চলছে। যারা ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে, তাদের এ দেশের মানুষ ক্ষমতায় রাখেনি। কদিন পরে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে।

সরকারের ওপর চাপ বাড়ল কি না— জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, আমরা জ্বালাও-পোড়াও চাই না। আমি বিশ্বাস করব, জ্বালাও-পোড়াও দলরা একটু সচেতন হবে। এই জ্বালাও-পোড়াও আর রাস্তা দখল করে আন্দোলন ওগুলো হবে না। আইন অনুযায়ী তারা যদি করেন সরকার সহযোগিতা করবে।

মোমেন বলেন, বিরোধীরা সরকারি ও বেসরকারি সম্পদ ধ্বংস, জ্বালাও-পোড়াও করে। গতবার ৩৮০০টি গাড়ি, ২৭টি বগি জ্বালিয়েছে।

স্বচ্ছ ও সুন্দর নির্বাচন হবে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা গণতান্ত্রিক সরকার, জনগণের ওপর নির্ভরশীলতা আমাদের অবস্থানকে আরো শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করিয়েছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply