fbpx

যে দুর্ঘটনা কেড়ে নিল ৩ দম্পতির প্রাণ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

স্ত্রী-সন্তানসহ অসুস্থ মাকে দেখতে ব্যক্তিগত গাড়ি চড়ে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিলেন রাজধানীর বারডেম হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. বাসুদেব সাহা। কিন্ত মাকে আর শেষ পর্যন্ত দেখা হলো না। বাড়িতে পৌঁছনোর আগেই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন বাসুদেব কুমার সাহা, তার স্ত্রী শিবানী সাহা ও সন্তান স্বপ্নিল সাহা। তবে পরিবারের সঙ্গে গোপালগঞ্জ না যাওয়ায় ডা. বাসুদেবের একমাত্র কন্যা বেঁচে গেছেন বলে জানা গেছে।

যে দুর্ঘটনা কেড়ে নিল ৩ দম্পতির প্রাণ

দুর্ঘটনায় নিহত বাসুদেব কুমার সাহা, তার স্ত্রী শিবানী সাহা ও ছেলে স্বপ্নিল সাহা।

শুধু এই দম্পতিই নয়, একই দুর্ঘটনায় আরও দুই দম্পতি প্রাণ হারান। সদ্য বিবাহিত দম্পতি অনীক ও ইয়াসমিন মোটরসাইকেলে কাশিয়ানী থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন। আর ফিরোজ মোল্লা ও তাঁর স্ত্রী রুমা বেগম ব্যস্ত ছিলেন সড়কের পাশে ধানমাড়াইয়ে। হঠাৎ এক দুর্ঘটনা একসঙ্গে কেড়ে নিল তাঁদের সবার প্রাণ।

শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফুকরা ইউনিয়নের দক্ষিণ ফুকরা এলাকায় যাত্রীবাহী বাস, ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে তাঁদের মৃত্যু হয়। এছাড়া ব্যক্তিগত গাড়িটির চালকও মারা গেছেন। এ নিয়ে নিহত মানুষের সংখ্যা হয়েছে আট।

এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। তাদের মধ্যে ২০ জনকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একই পরিবারের তিনজন রয়েছেন। তারা হলেন—ঢাকা বারডেম হাসপাতালের চিকিৎসক ও গোপালগঞ্জ শহরের বটতলা এলাকার প্রফুল্ল কুমার সাহার ছেলে বাসুদেব কুমার সাহা (৫২), তার স্ত্রী শিবানী সাহা (৪৮) ও ছেলে আহ্‌ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী স্বপ্নিল সাহা (১৯)।  চিকিৎসক বাসুদেব সাহার ব্যক্তিগত গাড়ির চালক আজিজুর ইসলামও (৪৪) নিহত হয়েছেন।

বাকি চারজন হলেন কাশিয়ানী উপজেলার ফুকরা ইউনিয়নের দক্ষিণ ফুকরা গ্রামের পেয়ার আলী মোল্লার ছেলে ফিরোজ মোল্লা (৪৮), তার স্ত্রী রুমা বেগম (৪০), একই গ্রামের জিন্দার ফকিরের ছেলে অনীক বাবু (২৮) ও অনীকের নববিবাহিত স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার (১৯)।

ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সিরাজুল ইসলাম বলেন, পিরোজপুরে মঠবাড়িয়া থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা রাজিব পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার দক্ষিণ ফুকরা এলাকায় পৌঁছালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ব্যক্তিগত গাড়ি ও কাশিয়ানী থেকে ছেড়ে আসা মোটরসাইকেলের ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এ সময় দুমড়েমুচড়ে ব্যক্তিগত গাড়িটি সড়কের পাশে ধানমাড়াইরত মেশিনের ওপর গিয়ে ছিটকে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই একই পরিবারের তিনজন,ধানমাড়াইরত স্বামী-স্ত্রীসহ আটজন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন আরও অন্তত ৩০ জন।

পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও স্থানীয় লোকজন হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ও কাশিয়ানী ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যান।

গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা, কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেদী হাসান, গোপালগঞ্জ সদরের ইউএনও মহাসিন উদ্দিনসহ জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply