মিয়ানমারে শনিবার জান্তা বিরোধী বিক্ষোভে শনিবার ১১৪ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন সেনাবাহিনীর এই দমন নিপীড়ণকে ‘ ভয়াবহ’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন ‘ জান্তা সরকার কিছু ব্যক্তির জন্য মানুষের জীবন কেড়ে নিচ্ছে। কিন্তু বার্মার সাহসী মানুষ সেনাবাহিনীর সন্ত্রাসবাদের রাজত্বকে প্রত্যাখ্যান করেছে। ‘
জাতিসংঘের তদন্তে বলা হয়েছে সেনাবাহিনী বিক্ষোভে ‘গণহত্যা’ চালিয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, শনিবার শসন্ত্র দিবসে বিক্ষোভে নিহতদের মধ্যে শিশুরাও ছিল। দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়েই নিহত হয়েছে অন্তত ৪০ জন। তাদের মধ্যে ১৩ বছরের এক কিশোরীও রয়েছে। সাগাইং অঞ্চলেও এক শিশু নিহত হয়েছে।
ইয়াংগুনে মারা গেছে অন্তত ২৭ জন। দালা উপশহরে স্থানীয় থানার কাছে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হন চারজন। এখানে কমপক্ষে ১০ জন আহত হন। ইনসেইন শহরে গুলিতে নিহত হন তিনজন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন মিয়ানমারের অনূর্ধ্ব-২১ ফুটবল দলের সদস্য ছিলেন বলে জানা গেছে।
শনিবার মিয়ানমারে একটি রক্তক্ষী দিন হতে পারে, সেই আশঙ্কা ছিল আগে থেকেই। কারণ তার আগের দিনেই দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে গুলি চালানোর হুশিয়ারি দিয়েছিল জান্তা সরকার।
গত ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচিত নেত্রী অং সান সু চির সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এরপর থেকেই দেশটিতে বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভকারীরা সু চির মুক্তির পাশাপাশি বেসামরিক কর্তৃপক্ষের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন। এসব বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে এরইমধ্যে নিহতের সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়েছে।