রাতেই কাতার এয়ারওয়েজে দেশে ফিরছেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। কিছুদিন আগে তৃতীয় সন্তানের জন্মের সময় পরিবারের পাশে থাকতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন। একদিকে চোট সমস্যা আর অন্যদিকে সন্তানের জন্ম, সবমিলিয়ে নিউজিল্যান্ড সফর থেকে ছুটি নিয়েছিলেন সাকিব।
আজ সোমবার (২২ মার্চ) রাত দুইটায় সাকিবের দেশে ফেরার খবরটি নিশ্চিত করেছেন বিসিবির এক কর্মকর্তা।
সম্প্রতি, একটি ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইটে দেওয়া ভিডিও সাক্ষাৎকারে সাকিব তার টেষ্ট খেলা নিয়ে মন্তব্য করেন। তার মতে, বিসিবি তার ছুটির আবেদনের ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছে। তিনি টেষ্ট খেলতে চান না, বিসিবির বিভিন্ন পর্যায় থেকে করা এমন মন্তব্যের প্রতিবাদ জানান তিনি। সাকিব বলেন, টেষ্ট খেলতে চায় না, এমন কোন কথাই তিনি বিসিবিকে বলেননি। এমনকি, বিসিবির হাই পারফরম্যান্স বিভাগের কার্যক্রম নিয়েও কথা তোলেন তিনি।
অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সাকিবের সাক্ষতকারের পর নতুন করে আলোচনায় সাকিব আল হাসান, আলোচনায় সাকিবের টেস্ট খেলতে চাওয়া, না চাওয়া প্রসঙ্গ। সাকিবের সমালোচনায় এখন তোলপাড় বিসিবি।
এর প্রেক্ষিতে, গতকাল রবিবার (২১ মার্চ) রাতে বোর্ডের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা জরুরি বৈঠক করেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসানের বাসায়। বৈঠক শেষে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান জানিয়েছেন, সাকিবকে আইপিএলের এনওসি দেওয়া নিয়ে নতুন করে ভাববে বিসিবি। বৈঠকে বিসিবির হাই পারফরম্যান্স বিভাগের প্রধান নাঈমুর রহমানও সাকিবের বিসিবি সম্পর্কে মন্তব্যের জবাব দেন।
এদিকে, রবিবার (২১ মার্চ) রাতে একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সাকিবের ভাষ্য, তিনি খেলতে চান ৩ ফরম্যাটে। শ্রীলঙ্কা সফর থেকে ছুটি নেওয়ার কারণ মূলত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের বক্তব্য যদি সত্যি হয় তবে এতটুকু স্পষ্ট, দেশের ক্রিকেটের বৃহত্তর স্বার্থ মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাকিব।

ছবি: সংগৃহীত
তিনি বলেন -‘আমি তিনটা ফরম্যাটেই খেলতে চাই। আরও কিছুদিন পর হয়তো ডিসিশন নেব, কোনোটা বাদ দেব কি না। এটাও অনেকবারই বলেছি, আমি যদি চান্স পাই, আইপিএলটা অবশ্যই খেলতে চাই। আইপিএলে খেলাটা আমি খুব এনজয় করি। দেশের ক্রিকেটের জন্যও তো এটা ভালো জিনিস। বাংলাদেশের আর কেউ তো খেলে না, যেখানে আফগানিস্তানেরও তিনজন খেলে। আইপিএল এমন একটা টুর্নামেন্ট, ম্যাচে খেলি বা না খেলি, প্রতিবারই আমি পাঁচ পার্সেন্ট হলেও ইমপ্রুভ করি। বিশ্বকাপ ক্রিকেটই এর বড় প্রমাণ। এছাড়া আমি বাংলাদেশের সব ম্যাচেই খেলতে চাই’।
এদিকে, জাতীয় ক্রিকেট দলের দুই সাবেক অধিনায়ক জানিয়েছেন, সাকিবের বিষয়টি নিয়ে খুব দ্রুতই বোর্ড মিটিং ডেকে আলোচনা করা হবে।