মধু কেবল রূপেরই নয়, পুষ্টিগুণেরও বটে। ‘মধু’ খাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ কারণে কোনো বাধা (যেমন ডায়াবেটিস) না থাকলে রোজ সকালে এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে ১ চা–চামচ মধু ও ১ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। ত্বক ভেতর থেকে সুস্থ থাকবে। আয়ুর্বেদমতে, মধু এমন এক উপকরণ, যার গুণের শেষ নেই—সৌন্দর্যচর্চায় মধু অতুলনীয়।
ত্বক পরিষ্কার
সমপরিমাণ দুধ ও মধু মিশিয়ে ক্লিনজিং ক্রিম তৈরি করতে পারেন। কাচের বয়ামে মুখ বন্ধ করে ফ্রিজে রেখে দিলে এক সপ্তাহ পর্যন্ত ব্যবহারোপযোগী থাকে। প্রতিদিন গোসলের ২০ মিনিট আগে এই মিশ্রণ মুখে লাগিয়ে নিন।
ব্রণ নিরাময়ে
সিকি চা-চামচ মধু ও লবঙ্গ গুঁড়া (মধুর সমপরিমাণ) মিশিয়ে প্যাক হিসেবে লাগান কেবল ব্রণের স্থানে। ব্রণ দূর না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিনই ব্যবহার করুন।
উজ্জ্বল ত্বকের জন্য
ত্বকের দাগছোপ ও মলিনতা প্রশমনে, ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে সপ্তাহে ২ দিন ব্যবহার করতে পারেন মধুর ফেসপ্যাক। আধা চা-চামচ মধু ও আধা চা-চামচ টমেটোর রস মিলিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন। ফেসপ্যাকটির ঘনত্ব বাড়াতে চাইলে মসুর ডালের বেসন যোগ করুন আধা চা-চামচ। এ ছাড়া আধা চা-চামচ মধু ও আধা চা-চামচ শসার রস মিলিয়েও তৈরি করা যায়। তরল বা গুঁড়া দুধের সঙ্গে সামান্য পরিমাণ মধু মেলানো প্যাকও ব্যবহার করতে পারেন।
চুলের যত্নে
১টি পাকা কলা, আধা কাপ টক দই, ১টি ডিম ও ১ চা-চামচ মধু দিয়ে তৈরি প্যাকের মাধ্যমে সপ্তাহে এক দিন চুলের ‘মধু’ময় যত্ন নিতে পারেন।
মহামারির সময়টা মধুর না হলেও শরীর-মনের সুস্থতায় নিয়ম মেনে জীবন যাপন করার গুরুত্ব ভুলে গেলে চলবে না। সুস্থতা ও সৌন্দর্যের জন্য নিয়মিত ব্যায়াম, সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও মানসিক চাপ প্রশমন আবশ্যক। নইলে ত্বকে-চুলে মধু যেভাবেই প্রয়োগ করা হোক না কেন, মধুময় রূপ দুষ্প্রাপ্যই রয়ে যাবে।