fbpx

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালীতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) বিকাল পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আর চারটি ক্যাম্পে ১০ হাজারের বেশি ঘর পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এ ঘটনায় প্রায় ৫০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের পাশে, পাহাড়, জঙ্গলে অবস্থান করছে। এ ঘটনা তদন্তে আট সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

গণমাধ্যমকে ছয় শিশুসহ ১১ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. আজাদ মিয়া।

তবে রোহিঙ্গা শিবিরে কর্মরত এনজিওদের সমন্বয়কারী সংস্থা ইন্টার সেক্টর কো-অর্ডিনেশন গ্রুপ দাবি করছে, এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১৫ রোহিঙ্গার মৃত্যু এবং অন্তত ৪৫০ জন আহত হয়েছেন। ১০ হাজার ঘর পুড়েছে এবং প্রায় ৪৫ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়েছেন। এবং নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ৪০০ রোহিঙ্গা।

এছাড়া জাতিসংঘের শরণার্থী–বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অগ্নিকাণ্ডে ১৫ জন নিহত হওয়ার কথা জানানো হয়েছে।

নিহত রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৯ জনের পরিচয় শনাক্ত করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন সলিম উল্লাহ (৫৫), রফিক আলম (২৫), আবদুল্লাহ (৮), আসমাউল (৭), মিজানুর রহমান (৪), বশির আহমদ (৬৫), খতিজা বেগম (৭০), মো. একরাম (৩), এমদাদ উল্লাহ (২৪)।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিন আল পারভেজ বলেন, অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানের জন্য শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) শাহ রেজওয়ান হায়াতকে প্রধান করে আট সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, এপিবিএনের অধিনায়কসহ বিভিন্ন বাহিনীর কর্মকর্তাদের রাখা হয়েছে। আগামীকাল বুধবার থেকে তদন্ত শুরু হবে।

উল্লেখ্য, সোমবার বেলা তিনটার দিকে বালুখালী ৮ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরের একটি ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত। একপর্যায়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে শিবির লাগোয়া ৮-ডব্লিউ ও এইচ, ৯ ও ১১ নম্বর শিবিরেও। রাত পৌনে ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

Advertisement
Share.

Leave A Reply