মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
গতকাল ১০ ডিসেম্বর (শুক্রবার) যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব বিভাগের বৈদেশিক সম্পদ নিয়ন্ত্রণ দপ্তর সরকারের নির্বাহী আদেশ ১৩৮১৮–এর আওতায় এ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে পৃথকভাবে এ নিষেধাজ্ঞা দেয় হয়। আদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন বা দুর্নীতিতে সম্পৃক্ত ব্যক্তির সম্পদ বাজেয়াপ্তের কথা বলা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ। অন্য কর্মকর্তারা হলেন -র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) খান মোহাম্মদ আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) তোফায়েল মুস্তাফা সারওয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) মো. জাহাঙ্গীর আলম ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) মো. আনোয়ার লতিফ খান।
এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক থাকায় এসেছেন। তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব বিভাগের ডেপুটি সেক্রেটারি ওয়ালি আডেয়েমো জানান, এ নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাজ্য ও কানাডার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। তাদের আজকের পদক্ষেপ একটি বার্তা দিচ্ছে যে যারা নিপীড়ন চালাতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করবে, তাদের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্র কথা বলবে।
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলছেন, র্যাব ও তার ছয় কর্মকর্তার ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। এক ভিডিও বার্তায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমনটাই জানান।
ওই ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র অতিরঞ্জিত সংবাদের ওপর ভিত্তি করে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। কারণ আমাদের পুলিশ কখনো কাউকে ক্রস ফায়ার বা বিচার বহির্ভূত হত্যা করে না। বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা চ্যালেঞ্জিং। তবে আমাদের আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী সুন্দরভাবেই সেই দায়িত্ব পালন করছে।’