fbpx

লঞ্চের দেরিতে শতাধিক পরীক্ষার্থীর বিসিএস দেওয়া হলো না!

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ভোলা-মনপুরা-হা‌তিয়া-ঢাকা রু‌টের যাত্রীবাহী লঞ্চ তাস‌রিফ-২ ঢাকায় পৌঁছাতে দেরি করায় আজকের বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি শতাধিক পরীক্ষার্থী। লঞ্চের কর্মচারী ও মাস্টারদের বিরুদ্ধে সময় নষ্ট করার অভিযোগ করেছেন পরীক্ষার্থীরা।

আজ শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু, লঞ্চটি ঢাকার সদরঘা‌ট পৌঁ‌ছাতেই সকাল প্রায় ১০টা বেজে যায়। ফলে, পরীক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষার হলে পৌঁছাতে পারেননি।

ভুক্তভোগী একাধিক পরীক্ষার্থীর তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে চাঁদপুর জেলার কাছাকাছি পৌঁছে লঞ্চটি আবার ঘুরিয়ে হাকিম উদ্দিন লঞ্চঘাটে চলে আসে। হাকিমউদ্দিন ঘাটে যখন লঞ্চটি পৌঁছে তখন প্রায় রাত ১২টার বেশি। বিষয়টি টের পেয়ে শিক্ষার্থীরা লঞ্চ স্টাফ ও সুপারভাইজারদের জিজ্ঞাসা করেন। তারা শিক্ষার্থীদের বলেন, তাদের আরেকটি লঞ্চের (তাসরিফ-৪) সমস্যা হওয়ার কারণে ওই লঞ্চের যাত্রীদের নিতে এসেছে।

পরীক্ষার্থীরা জানান, এ সময় যাত্রীদের মধ্যে অনেক পরীক্ষার্থী প্রতিবাদ করলেও লঞ্চস্টাফ ও সুপারভাইজার তাদের পাত্তা দেননি। তারা শুক্রবার সকাল ৭টার মধ্যে ঢাকায় পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু লঞ্চটি ঢাকার সদরঘাটে পৌঁছে শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে। পরে সবাই লঞ্চমালিকদের সাথে বাকবিতণ্ডা না করে দ্রুত পরীক্ষা দেওয়ার জন্য নেমে পড়েন।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট লঞ্চ কোম্পানির ব্যবস্থাপক মো. ইকবাল ও তাসরিফ-২ লঞ্চের সুপারভাইজার মো. জামালউদ্দিন বলেন, চরফ্যাশন থেকে ছেড়ে আসা তাসরিফ-৪ লঞ্চ ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাকিমউদ্দিন ঘাটের কাছের মেঘনা নদীর চরে আটকে যায়। ওই লঞ্চে কয়েকজন গুরুতর রোগী ও অনেক বিসিএস পরীক্ষার্থী ছিলেন। সেসব যাত্রীদের তোলার জন্য বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার কালীগঞ্জ ঘাট থেকে লঞ্চ ঘুরিয়ে হাকিমউদ্দিন ঘাটের উদ্দেশে রওনা হয়।

ওই দুই কর্মকর্তা আরও জানান, আজ দুপুরে অনেক বিসিএস পরীক্ষার্থী এসে বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারেননি বলে অভিযোগ করলে বিনা টাকায় তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হয়। তারপরও পরীক্ষার্থীরা ৯৯৯ -এ ফোন দিয়ে লঞ্চমালিকের ক্ষতি করেছেন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply