fbpx

‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত আরাফাত ময়দান

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক। ইন্নাল হামদা ওয়ান নিয়মাতা লাকা ওয়াল মুলক। লা শারিকা লাক’ (আমি হাজির, হে আল্লাহ আমি হাজির, তোমার কোনো শরিক নেই, সব প্রশংসা ও নিয়ামত শুধু তোমারই, সব সাম্রাজ্যও তোমার)-  ধ্বনিতে মুখরিত সৌদি আরবের মক্কার আরাফাতের ময়দান।

আজ থেকে শুরু হয়েছে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় সম্মেলন পবিত্র হজের মূলপর্ব। করোনা মহামারির এবারও সীমিত পরিসরে হজ পালিত হচ্ছে। তবে এর আগের বছরের চেয়ে এবার শর্তসাপেক্ষে বেশি সংখ্যক মানুষজনকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

এই বছর ১৫০ দেশের মাত্র ৬০ হাজার মানুষকে হজ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে করোনার দুই ডোজ টিকা নেওয়া থাকতে হবে বলে শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে।

শনিবার থেকে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। সোমবার সকালে মুসল্লিরা সমবেত হয়েছেন আরাফাতের ময়দানে। এখানে হাজির না হলে হজ পূর্ণ হয় না।

আজ সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করবেন হজে অংশগ্রহণকারী মুসল্লিরা। তারা দিনভর ইবাদতে মশগুল থাকবেন। রবিবার তাঁরা মিনায় থেকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেছেন। মিনায় তাঁবুতে তাঁরা দিন কাটিয়েছেন। সকাল বেলা ফজরের নামাজ আদায় শেষে মুসল্লিরা আরাফাত ময়দানে হাজির হন। আরাফাতে মসজিদে নামিরাহ থেকে  হজের খুতবা পাঠ করা হবে।

আরাফাত ময়দানের তিন দিকে রয়েছে পাহাড়। মাঝে দুই মাইল দৈর্ঘ্য ও দুই মাইল প্রস্থের সমতল ভূমি। এই আরাফাত ময়দানেই আছে জাবালে রহমত বা রহমতের পাহাড়। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এখানে দাঁড়িয়েই বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন। পৃথিবীতে এসে হজরত আদম (আ.) ও  হজরত হাওয়া (আ.)–এর  পুনর্মিলনও হয়েছিল এ ময়দানে।

মুসল্লিরা আরাফাতের এ ময়দানে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান করবেন। পরে এ ময়দান থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে মুজদালিফায় গিয়ে মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করবেন। রাতে মুজদালিফায় অবস্থান করবেন।

সেখানে তাঁরা শয়তানের উদ্দেশে নিক্ষেপের জন্য প্রয়োজনীয় পাথর সংগ্রহ করবেন। মঙ্গলবার ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে আবার মিনায় ফিরবেন। মিনায় এসে বড় শয়তানের  উদ্দেশে সাতটি পাথর মারবেন, দমে শোকর বা কোরবানি ও মাথা মুণ্ডন বা চুল ছেঁটে গোসল করবেন। সেলাইবিহীন দুই টুকরা কাপড়ও বদল করবেন। এরপর স্বাভাবিক পোশাক পরে মিনা থেকে মসজিদুল হারামে গিয়ে কাবা শরিফ সাতবার তাওয়াফ করবেন। এছাড়া সাফা-মারওয়া সাঈ (সাতবার দৌড়াবেন) করবেন। তাওয়াফ ও সাঈ শেষে তাঁরা আবার মিনায় যাবেন। মিনায় যত দিন থাকবেন, তত দিন তিনটি (বড়, মধ্যম, ছোট) শয়তানের উদ্দেশে ২১টি পাথর নিক্ষেপ করবেন। এভাবেই হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।

খুতবা ও গিলাফ

আজ আরাফাতের ময়দানে মসজিদে নামিরাহ থেকে হজের খুতবা দেওয়া হবে।মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব শায়খ ড. বান্দার বিন আবদুল আজিজ বালিলা এবার খুতবা দেবেন । প্রতিবছরের ন্যায় এবারও কাবায় নতুন গিলাফ পরানো হবে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply