fbpx

শখে পাখি পালন, আসে অর্থও (ভিডিও)

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

দেড় বছর আগে একটি বাজরিগার পাখি উড়ে এসেছিল বাসায়। সেটির যত্ন-আত্তি করতে গিয়েই পাখির প্রেমে পরে যায় কিশোরী যুঁথি। পাখিটির নি:সঙ্গতা কাটাতে আনা হয় আরও এক জোড়া পাখি। আর তা বেড়ে এখন পাখির সংখ্যা পাঁচশ ছাড়িয়েছে।

যুঁথি বলেন, ‘ বাচ্চাগুলো যখন বের হয় তখন এক একটা স্টেপ থাকে, যা দেখতে অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে পাখির ডাকগুলো। এটা আমারা প্রতিদিনই শুনতে পাই ভোর বেলা। কিন্তু শহরের এই জ্যামে পাখির ডাক শুনতে পাওয়া যায় না। আর আমরা ঘরের মধ্যে বসেই পাখির ডাক শুনতে পাই।”

অল্প জায়গার মধ্যেই বাসার বারান্দায় এতগুলো পাখি পুষছে এই কিশোরী। বাজরিগারের সাথে যোগ হয়েছে লাভ বার্ড,  ফিঞ্চসহ আরও অনেক পাখি। তবে শুরুটা শখের বসে হলেও পাখি বেড়ে যাওয়ায় মাঝে মাঝে বিক্রিও করে দিতে হচ্ছে।

যুঁথি জানান, একটা বাজরিগার প্রাপ্ত বয়স্ক হতে সময় নেয় পাঁচ থেকে ছয় মাস। এক সাথে ৪ থেকে ১২ টা পর্যন্ত ডিম দেয়। আর ডিম ফুটে বাচ্চা হতে সময় লাগে ১৮ দিন থেকে ২৩ দিন। এক সাথে অনেকগুলো বাচ্চা পাওয়া যায় বলে এর বৃদ্ধি হয় খুব দ্রুত। আর এক জোড়া পাখি বিক্রি করা যায় তিনশ থেকে আটশ টাকায়। শখের সাথে আসে অর্থও।

যুঁথির মতো একেবারে শখ থেকেই পাখি পুষতে শুরু করে জাহিদ সাগর। চার জোড়া পাখি দিয়ে শুরু- এক বছরই খাঁচা পরিপূর্ণ। শুধু খাঁচার পাখি নয়, তিনি খোলা পাখির খাবারের জন্যও ব্যবস্থা করেছেন বাসার ছাদে। তবে যেসব পাখি খাঁচাতে থাকতে স্বাচ্ছন্দবোধ করে সে গুলোকেই পোষেন তিনি।

জাহিদ জানান, বাজরিগার, কোকোটাইল, ফিঞ্চ এসব পাখি খাঁচাতে থাকতেই পছন্দ করে। তাই খাঁচাতে রেখেই বড় করতে হয়।

এসব পাখি বাণিজ্যিকভাবে চাষ কতটা লাভজনক এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘ আমি যেহেতু শখেই পাখি পালছি তাই সেখানে আমি ওই ভাবে চিন্তা করিনি। তবে কেউ যদি বাণিজ্যিকভাবে পাখি পালন করেন তবে সেটা অবশ্যই লাভজনক হবে।‘’

তিনি জানান, বিদেশি পাখি হলেও এই পাখিগুলো বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বেশ মানিয়ে নেয়। দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় এর বাণিজ্যিক চাষে লাভজনক সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সে জন্য পাখির লালন পালনে দরকার বড় জায়গা। খাঁচার ভেতরে পাখিগুলো যেন ঠিকমত উড়তে পারে, স্নান করতে পারে তার ব্যবস্থা রাখতে হবে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply