ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে উত্তাল পদ্মা। প্রবল বাতাসের ফলে বড় বড় ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়েছে, পদ্মায় বেড়েছে স্রোত। এ অবস্থায় বন্ধ রাখা হয়েছে শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার রুট। ২৬ মে বুধবার সকাল থেকেই সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। এতে করে গতকাল থেকে আজ সকাল পর্যন্ত শিমুলিয়া ঘাটে আটকে পড়েছে ৫ শতাধিকেরও বেশি যানবাহন। ভোগান্তিতে যাত্রীরা।
এরপর, সকাল ১১ টা থেকে শুধুমাত্র যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচলে অনুমতি দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। তবে বন্ধ থাকবে দেশের সকল রুটের এক ইঞ্জিন চালিত লঞ্চ।
ঘাট কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল ভোরে শিমুলিয়া ঘাট থেকে মাত্র একটি ফেরি ছেড়ে গেছে। তারপর থেকে আজ সকাল পর্যন্ত আর কোন ফেরি ছাড়া হয়নি। এছাড়া গতকাল প্রবল বাতাসের ফলে পানির স্রোতে শিমুলিয়া ঘাটের ২ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুনটি বিচ্ছিন্ন হয়ে দুই ভাগ হয়ে যায়। ভেঙে যাওয়া পন্টুনটি এখনো ওই ভাবে বেঁধে রাখা হয়েছে। আর ঢেউয়ের কারণেই আজও নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার পর অবশেষে যাত্রীবাহী লঞ্চ চালুর সিদ্ধান্ত আসলো।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া মহাব্যবস্থাপক জানান, পরিস্থিতি ঠিক না হওয়া পর্যন্ত শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ফেরি চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে পদ্মা নদীতে প্রবল স্রোতের সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে ২ নম্বর ঘাটের পন্টুন বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সেটি মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় এই নৌ-পথ ব্যবহারকারীদের মাইকিংয়ের মাধ্যমে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের বিকল্প পথ ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, নদীতে প্রচণ্ড বাতাস, ঢেউ ও স্রোত রয়েছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে’।