fbpx

শিল্পকারখানা খোলার ঘোষণায় নৌরুটগুলোতে জনস্রোত

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

করোনা সংক্রমণ রোধ করার জন্য দেশের চলমান বিধি-নিষেধ ঈদুল আজহা উপলক্ষে আট দিন শিথিল রাখার পর আবারও ১৪ দিনের কঠোর বিধি-নিষেধ জারি করে সরকার। এই বিধি-নিষেধ শেষ হবে আগামী ৫ আগস্ট। কিন্তু তার আগেই, গতকাল শুক্রবার (৩০ জুলাই) দেশের সকল শিল্প-কারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানায় সরকার। আর আগামীকাল রবিবারই কাজে যোগ দিতে হবে শ্রমিক-কর্মচারিদের।

সরকারের হঠাৎ নেওয়া এই সিদ্ধান্তের পরই তীব্র জনস্রোত সৃষ্টি হয়েছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ নৌরুটগুলোতে। আজ শনিবার (৩১ জুলাই) সকাল থেকেই শিমুলিয়া ঘাটে দেখা গেছে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। কঠোর বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে সেখানে সচল ৯টি ফেরিতে পারাপার হচ্ছে শত শত যাত্রী ও ব্যক্তিগত গাড়ি। আর যাত্রীর চাপ বেশি থাকায় মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব। এমনকি, জরুরি ও বিধি-নিষেধের আওতামুক্ত পণ্যবাহী গাড়ি পারাপারে ফেরি চালু থাকলেও, তাও আর মানা হচ্ছে না।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডাব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের উপ-মহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে জানান, বাংলাবাজার ঘাট থেকে আসা প্রত্যেক ফেরিতেই যাত্রী ও যানবাহনের তীব্র চাপ রয়েছে। পোশাক কারখানা খুলছে, তাই হয়তো যাত্রীদের উপস্থিতি বেশি।

এদিকে, পরিবহন সংকটে চরম বিপাকে পড়েছেন শিমুলিয়াঘাটে পৌঁছনো ঢাকামুখী যাত্রী ও পোশাক শ্রমিকরা। সড়কে পুলিশের চেকপোস্ট এড়িয়ে ছোট যানবাহনে ভেঙে ভেঙে ঢাকার পথে আসছেন তারা। ফলে দুই থেকে তিনগুণ বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে তাদের।

শ্রমিকরা জানান, কারখানায় কাজে যোগ না দিলে তাদের রুটি-রুজি বন্ধ হয়ে যাবে। তাই বাধ্য হয়েই ঢাকায় ফিরতে হচ্ছে তাদেরকে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply