দরজায় কড়া নাড়ছে শীত। জাঁকিয়ে শীত না পড়লেও বাতাসে শীত শীত ভাব। এমন ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়ায় অনেকেই পরিমিত পানি পান করেন না। এমনিতেই বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে শীতকালে পানির তৃষ্ণা কম থাকে। এজন্য অনেকেই এ সময় যথেষ্ট পানি পান করেন না। এভাবে শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দেয়। পর্যাপ্ত পানির অভাবে দেখা দেয় নানাবিধ শারীরিক সমস্যা।
সমীক্ষা বলছে, শীতকালে শরীরে তরল পদার্থ (বডি ফ্লুইড) হ্রাস পায়। তাই এই সময় আরও বেশি করে পানি পান করা উচিত। শুধু তাই নয়, একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, ঠান্ডার সময় চা, কফি জাতীয় পানীয় বেশি পান না করাই ভালো। এগুলি শরীরে পানির অভাবকে আরও প্রকট করে তোলে। তাছাড়া শীতকালে পানি খাওয়া শরীরের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী।
শীতকালে পানি পানের উপকারীতা
১। শ্বাসকষ্ট, মানসিক চাপ, শারীরিক পরিশ্রম প্রভৃতি কারণে শীতকালে শরীর থেকে তরল পদার্থের হ্রাস ঘটে। শীতকালে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে শরীরের তাপমাত্রা বজায় থাকে।
২। শীতকালে অধিকাংশের মধ্যেই আলস্য দেখা দেয়। কাজের উদ্যম কমে যায় অনেকটা। পানি শরীরের ইলোক্ট্রোলাইটের অভাব পূরণ করে সতেজ ও তরতাজা করে তোলে।
৩। শীতকালে ত্বক অল্পেতেই শুষ্ক হয়ে পড়ে। ত্বককে শুষ্কতার হাত থেকে মুক্তি দিতে অধিক পরিমাণে পানি পান করা প্রয়োজন।
৪। ‘ভিটামিন ডি’র অভাবে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন মানুষ। শীতকালে ‘ভিটামিন ডি’র ঘাটতি বাড়ে। ফলে পানি শীতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করে।
৫। শীতকালে শ্বাসকষ্টের প্রকোপ খুব বাড়ে। পানি শ্বাসকষ্ট এবং শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে। পানি রক্ত সঞ্চালনেও সাহায্য করে।