গত বৃহস্পতিবার চলতি মৌসুমের চায়ের ২০তম ও শেষ নিলাম সম্পন্ন হয়েছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে।
টি প্লান্টার্স অ্যান্ড ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (টিপিটিএবির) ব্যবস্থাপনায় বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত নিলামে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অর্ধশতাধিক বায়ার ও তিনটি ব্রোকার হাউজ অংশ নেয়।
এই নিলামে প্রথমবারের মতো দুই কেজি হলুদ চা উত্তোলন ও বিক্রি হয়। প্রতি কেজি চা ১২ হাজার ২০০ টাকা দামে বিক্রি হয়। এ নিলামে বিক্রির জন্য ১০ হাজার কেজি চা উত্তোলন করা হয়। এর মধ্যে সব চা বিক্রি হয়েছে। বিক্রীত চায়ের বাজার প্রায় ২০ লাখ টাকা।
নিলামে প্রতি কেজি চায়ের সর্বোচ্চ দাম ছিল ১২ হাজার ২০০ টাকা, সর্বনিম্ন ১৫০ টাকা ও গড় দাম ২২১ টাকা। নিলামে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হওয়া হবিগঞ্জের বৃন্দাবনপুর চা বাগানের উৎপাদিত দুই কেজি হলুদ চা প্রস্তাব করে শ্রীমঙ্গল ব্রোকার্স হাউজ। কিনে নেয় পপুলার টি হাউজ।
বৃন্দাবনপুর চা বাগানের ব্যবস্থাপক নাসির উদ্দিন খান জানান, এর আগে শ্রীমঙ্গলের ১৭তম নিলামে বৃন্দাবনপুর চা বাগান প্রথমবারের মতো হোয়াইট টি (সাদা চা) প্রস্তাব করে। প্রতি কেজি সাদা চা তখন ৫ হাজার ২০০ টাকা দামে বিক্রি করা হয়। তারা কালো চায়ের পাশাপাশি সাদা ও হলুদ রঙের দামি চা উৎপাদনে গুরুত্ব দিচ্ছেন।
নিলাম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান টিপিটিএবির জানায়, দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দাম কিছুটা বেড়েছে চায়ের। দুই সপ্তাহ আগে শ্রীমঙ্গলে ১৯তম নিলামে প্রতি কেজি চায়ের সর্বোচ্চ দাম ছিল ১৮০ টাকা, সর্বনিম্ন ১৪৫ টাকা এবং গড় দাম ছিল ১৬২ টাকা। সে হিসাবে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি চায়ের গড় দাম বেড়েছে ৫৯ টাকা।