fbpx

সপ্তাহ ব্যবধানে বাজারে সাত পণ্যের দাম বাড়তি  

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

রাজধানীতে সপ্তাহ ব্যবধানে হুট করেই বেড়ে গেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। তবে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে পেঁয়াজ ও ভোজ্যতেলের দাম। এছাড়া চাল, আটা, ময়দা, রসুন ও ডালের দাম গত এক সপ্তাহে বেড়ে গেছে। এ নিয়ে সপ্তাহ ঘুরে মোট সাতটি পণ্যের দাম বেড়েছে।

শুধু তাই নয়, বাজারে মাংসের দামও বাড়তি। রাজধানীতে গরুর মাংসের কেজি ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির দাম কমলেও দেশি মুরগির দাম বেশি। এছাড়া গুঁড়োদুধের দাম ও উর্ধ্বমুখী।

ফলে সীমিত আয়ের মানুষের জীবন যাপন বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। শুক্রবার (৪ জুন) রাজধানীর কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনার মধ্যে চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দাম কমাতে সরকারের পদক্ষেপ নেয়া উচিত। বাজার মনিটরিং জোরদার করা উচিত ছিল। তবে বাস্তবে তার উল্টো দেখা গেছে। তাদের অল্প টাকা মধ্যে থেকে বড় অংশ বাজারে লুট হচ্ছে। পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার।

অন্যদিকে বৃহস্পতিবার দেশের ৫০তম বাজেট ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। যেখানে মুড়িসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমার ঘোষণা থাকলেও, তার প্রভাব নেই বাজারে।

সরেজমিনে বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, তিন দিনের ব্যবধানে বাজারে কেজিতে আরও ১ থেকে ২ টাকা বেড়েছে চিকন, মাঝারি ও মোটা সব ধরনের চালের দাম। ফলে চিকন চাল এখন বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৬ টাকায়, যা দুই দিন আগেও ৬০ থেকে ৬৪ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছিল। আর মোটা চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকায়, যা আগে ছিল ৪৮ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে।

চালের পাশাপাশি দাম বেড়েছে আটা ও ময়দার দাম। ৩২ থেকে ৩৪ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া এক প্যাকেট আটার দাম বেড়ে এখন ৩৪ থেকে ৩৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্যাকেট ময়দার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৪ থেকে ৪৬ টাকায়, যা আগে ছিল ৪২ থেকে ৪৪ টাকার মধ্যে।

সয়াবিন ও পাম তেলের দামও বেড়েছে আগের চেয়ে। লুজ সয়াবিন তেলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা, যা গত শুক্রবার ছিল ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকার মধ্যে। আর পাম সুপার বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকায়, যা আগে ১১৫ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছিল।

পেঁয়াজের দাম দুই দফায় কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। গত শুক্রবার ৪৫ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া দেশি পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। রসুনের দাম বেড়েছে আগের চেয়ে। আমদানি করা রসুনের দাম বেড়ে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, যা গত শুক্রবার ১২০ থেকে ১৩০ টাকার মধ্যে ছিল। এছাড়া মসুর ডালের দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা বেড়েছে বলে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply