Advertisement
দেশের সব শিশুর মধ্যে আজও আমি রাসেলকে খুঁজে ফিরি। এই শিশুদের রাসেলের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে, জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৮ অক্টোবর সোমবার শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন শেখ হাসিনা।
ছোট ভাই শেখ রাসেলের স্মৃতিচারণ করে বাণীতে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, রাসেল যদি বেঁচে থাকতো আমরা হয় তো একজন মহানুভব, দূরদর্শী ও আদর্শ নেতা পেতাম, যাঁকে নিয়ে দেশ ও জাতি গর্ব করতে পারতো।
১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর জন্ম নেওয়া শেখ রাসেলের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাসেল নামটি শুনলেই প্রথমে যে ছবিটি সামনে আসে তা হলো- হাস্যোজ্জ্বল, প্রাণচঞ্চল এক ছোট্ট শিশুর দূরন্ত শৈশব। যে শিশুর চোখগুলো হাসি-আনন্দে ভরপুর। মাথা ভর্তি অগোছালো চুলের সুন্দর একটি মুখাবয়ব, যে মুখাবয়ব ভালোবাসা ও মায়ায় মাখা।
১৫ আগস্ট রাতে চালানো নির্মম সেই হত্যাকান্ডের কথা মনে করে শেখ হাসিনা বলেন, বিভীষিকাময় সেই রাতের প্রতিটি ক্ষণ, প্রতিটি মুহূর্ত এখনো গভীর শোকের সঙ্গে স্মরণ করি। এখনো ভাবি, কারো বিরুদ্ধে শত্রুতা থাকতেই পারে, কিন্তু সেই ক্ষোভ একজন কোমলমতি শিশুকে কেন কেড়ে নেবে? এই শিশু কী দোষ করেছিল? সে তো কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল না। সে কেন এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের অংশ হবে?

এতসব স্মৃতি স্মরণ করতে কষ্ট হয়। বুকে পাথর বেঁধে সেইসব স্মৃতির সাগরে ডুব দেই। কারণ সেদিন ঘাতকের বুলেট যে কোমলমতি শিশুটির প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল, সে ছিল নির্দোষ-নিষ্পাপ। রাসেল তো বাঁচতে চেয়েছিল। বাঁচার জন্য ঘাতকদের কাছে আকুতি জানিয়েছিল, মায়ের কাছে যাবার কথা বলেছিল। মায়ের কাছে নিয়ে যাওয়ার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে ঘাতকরা তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে, দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে জানালেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এমন এক উজ্জ্বল শিশুর সত্ত্বা বুকে ধারণ করে বাংলাদেশের শিশুরা বড় হোক। খুনিদের বিরুদ্ধে তারা তীব্র ঘৃণা বর্ষণ করুক। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে তারা এগিয়ে আসুক- আজ এ প্রত্যাশাই করি।

শেখ রাসেল
শিশু রাসেলের জীবন সম্পর্কে শিশু-কিশোরদের কাছে তুলে ধরতে প্রতি বছর ১৮ অক্টোবর শেখ রাসেল দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এবছর শেখ রাসেল দিবস ২০২১ এর প্রতিপাদ্য ‘শেখ রাসেল দীপ্ত জয়োল্লাস, অদম্য আত্মবিশ্বাস’।
Advertisement