fbpx

সরকারের কিছু কর্তাদের কারণেই গণপরিবহনে নৈরাজ্য কমছে না: জি এম কাদের

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, ‘দেশের পরিবহন সেক্টরকে কে বা কারা নিয়ন্ত্রণ করছে তা কেউ জানে না। কিছু সমিতি ও ইউনিয়ন পরিবহন সেক্টরকে জিম্মি করে রেখেছে। সরকারের কিছু দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তা সাধারণ মানুষের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিচ্ছে পরিবহন সেক্টরের সাথে আঁতাতের মাধ্যমে। তাই গণপরিবহনে নৈরাজ্য কমছে না।‘

শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) গাজীপুরের বঙ্গতাজ অডিটোরিয়ামে গাজীপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন বিরোধী দলীয় এই উপনেতা।

দেশে এখন আর সুশাসন নেই মন্তব্য করে জি এম কাদের বলেন, ‘সাংবিধানিকভাবেই দেশে একনায়কতন্ত্র চলছে। সংবিধান অনুযায়ী গণতন্ত্র চর্চা সম্ভব নয়। পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এর শাসনকালে গণতন্ত্র মুক্তি পাক বলে দেশের মানুষ শ্লোগান দিতে পেরেছে। দেশের মানুষ এখন কি স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক শ্লোগান দিতে পারে? এ থেকেই বোঝা যায় দেশের মানুষ কতটা গণতন্ত্র উপভোগ করতে পারছেন।‘

দেশের সব রাজনৈতিক দল জনগনের কাছে গ্রহনযোগ্যতা হারিয়েছে উল্লেখ করে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘এখন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অনেক নেতাই জাতীয় পার্টিতে যোগ দিচ্ছেন। আওয়ামী লীগে আর জায়গা নেই, এত নেতা-কর্মীর সংকুলান হচ্ছে না আওয়ামী লীগে। কেউ ইচ্ছে করলেই আওয়ামী লীগে যোগ দিতে পারছে না। আবার বিএনপির অবস্থা হতাশাব্যঞ্জক। বিএনপিতে চরম নেতৃত্ব সংকট চলছে। দেশের মানুষ বিএনপির ভবিষ্যত নিয়ে শংকিত। তাই দেশপ্রেমিক ও আদর্শবান মানুষের সামনে জাতীয় পার্টি হচ্ছে একমাত্র রাজনীতির বিকল্প শক্তি।‘

প্রতি বছর দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে অভিযোগ করে জি এম কাদের বলেন, ‘আমরা বিদেশি সূত্রে জানতে পেরেছি টাকা পাচারের খবর। দেশের কোন সূত্র এমন তথ্য নিশ্চিত করছে না। আমরা সংগঠনকে শক্তিশালী করতেই প্রতিটি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। আমরা চাই জাতীয় নির্বাচনের আগেই নির্বাচনী ব্যবস্থা ঠিক করতে হবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলেই দেশের মানুষ গণতন্ত্রের প্রকৃত স্বাদ উপভোগ করতে পারবেন।‘

Advertisement
Share.

Leave A Reply