fbpx

সাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে ‘বিতর্কিত’ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এক মামলায় অভিযোগপত্র জমা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

পাক্ষিক ‘পক্ষকাল’ পত্রিকার সম্পাদক, সাংবাদিক ও আলোকচিত্রী শফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে ‘বিতর্কিত’ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এক মামলায় অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ। তবে তার বিরুদ্ধে ‘বিতর্কিত’ এ আইনে দায়ের করা অন্য দুই মামলায় এখনও তদন্ত প্রতিবেদন দেয়নি পুলিশ।

সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, হাজারীবাগ থানার এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক মোহাম্মদ রাসেল মোল্লা রবিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ অভিযোগপত্র জমা দেন।

কাজলের আইনজীবীদের একজন জাহিদুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘কাজলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ‘প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগপত্রে।’

সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ওসমান আরা বেলী গত বছর ১০ মার্চ হাজারীবাগ থানায় এ মামলা দায়ের করেন। যুব মহিলা লীগের নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়ার ওয়েস্টিন হোটেলকেন্দ্রিক তৎপরতা নিয়ে একটি প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে গত বছরের ৯ মার্চ ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে এই মামলা করেন মাগুরা-১ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর। একই ঘটনায় পরদিন হাজারীবাগ থানায় মামলা করেন ওসমান আরা বেলী। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আরেক সদস্য সুমাইয়া চৌধুরী বন্যা কামরাঙ্গীর চর থানায় আরেকটি মামলা করেন। ‘বিতর্কিত’ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এ তিন মামলাতেই আসামির তালিকায় কাজলের নাম ছিল।

মামলা হওয়ার পরদিন গত বছরের ১০ মার্চ বকশিবাজারের বাসা থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন কাজল। পরদিন তার স্ত্রী জুলিয়া ফেরদৌসী চকবাজার থানায় একটি জিডি করেন। ১৮ মার্চ কাজলের সন্ধান চেয়ে চেয়ে চকবাজার থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলা করেন তাদের ছেলে মনোরম পলক।

এর এজাহারে অভিযোগ করা হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে লেখালেখির কারণে অজ্ঞাতনামা কেউ তাকে ‘অপহরণ’ করেছে।

এর প্রায় দুই মাস পর গত বছরের ২ মে যশোরের বেনাপোল সীমান্ত থেকে কাজলকে গ্রেপ্তার করার কথা জানায় বিজিবি। তার বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগ আনা হয়।

সাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে ‘বিতর্কিত’ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এক মামলায় অভিযোগপত্র জমা

থানা হাজতে সম্পাদক কাজল। ছবিসূত্র : ফেইসবুক

যশোর থেকে ঢাকায় আনার পর গত বছরের ২৩ জুন কাজলকে শেরেবাংলা নগর থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিচারকের মুখোমুখি করা হয়। হাকিম আদালত সেদিন কাজলের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে। পরে হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানার মামলাতেও কাজলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পুলিশ তাকে রিমান্ডে নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করে।

গত বছরের ২৪ আগস্ট ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত কাজলের জামিন আবেদন নাকচ করলে তিনি ৮ সেপ্টেম্বর হাই কোর্টে আবেদন করেন। সেই আবেদনে গত ২৪ নভেম্বর এবং এরপর ১২ ডিসেম্বর তিন মামলায় হাই কোর্ট থেকে জামিন পান কাজল। সাত মাস কারাগারে থাকার পর ২৫ ডিসেম্বর জামিনে মুক্তি পান কাজল।

সাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে ‘বিতর্কিত’ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এক মামলায় অভিযোগপত্র জমা

শফিকুল ইসলাম কাজল। ছবিসূত্র : ফেইসবুক

উল্লেখ্য, শফিকুল ইসলাম কাজল ছাত্র জীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাসদ ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন। পেশাগত জীবনে তিনি কাজ করেছেন দৃক নিউজ ও দৈনিক সমকালে। পরে ২০১১ সালে তিনি বাংলা ভাষার প্রথম বিজনেস ডেইলি ‘বণিক বার্তা’র ফটোএডিটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধের বীরাঙ্গনাদের নিয়ে একটি তথ্যবহুল বইয়ের লেখক এই শফিকুল ইসলাম কাজল।

Advertisement
Share.

Leave A Reply