fbpx

সাংবাদিক সাগর-রুনি খুনের বিচারহীনতার ৯ বছর

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি খুনের নয় বছর আজ (১১ ফেব্রুয়ারি)। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনিকে নিজ বাসায় হত্যা করা হয়। নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ৭৮ বারেও যে হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারি বাহিনী।

মামলা সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ গত ৩ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু র‍্যাব প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এজন্য আগামী ১১ মার্চ ফের প্রতিবেদন দাখিলের দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত। প্রথমে এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন শেরেবাংলা নগর থানার এক উপ-পরিদর্শক (এসআই)। চারদিন পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয় ডিবি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে একই বছরের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র‍্যাব এর কাছে হস্তান্তর করা হয়। সাগর-রুনি হত্যা মামলার ৮ আসামির দুইজন বাড়ির দারোয়ান পলাশ রুদ্র পাল ও কথিত বন্ধু তানভীর রহমান জামিনে আছেন। অপর ছয় আসামি মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু, বকুল মিয়া, কামরুল হাসান অরুন, রফিকুল ইসলাম, এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবিল ও আবু সাঈদ কারাগারে আটক আছেন। আসামিদের মধ্যে তানভীর জামিনে আছেন। এ মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার ৮ জনের কেউই এখন পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেনি। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে সাগর-রুনির ভাড়া বাসার নিরাপত্তা প্রহরী এনামুল হক ও পলাশ রুদ্র পাল ১৬১ ধারায় জবানবন্দি দেন। ২০১৩ সালের আগস্ট মাসে রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মো. সাইদ, মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ ও নিহত দম্পতির বন্ধু তানভীর রহমান এ পাঁচ জনকে মহাখালীর বক্ষব্যাধি হাসপাতালের চিকিৎসক নারায়ণচন্দ্র হত্যার ঘটনায় র‍্যাব ও ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। এ পর্যন্ত এ মামলায় ১৫৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply