fbpx

সাকিব-লিটনে বাংলাদেশের বড় জয়

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৭৬ রান। সর্বোচ্চ ১০২ রান করেন ওপেনার লিটন দাশ। জবাবে সাকিব আল হাসানের বোলিং তোপে জিম্বাবুয়ে অলআউট হয় ১২১ রানে। ৩০ রানে ৫ উইকেট নেন সাকিব। বাংলাদেশের জয় ১৫৫ রানের বড় ব্যবধানে।

হারারেতে টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন জিম্বাবিয়ান অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেইলর। টেইলরের সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা প্রমাণে সময় নেননি জিম্বাবুয়ের স্ট্রাইক বোলার ব্লেসিং মুজারাবানি।  দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে উইকেটের পেছনে রেজিস চাকাভার ক্যাচ বানিয়ে তামিমকে যখন ফেরালেন বাংলাদেশের বোর্ডে তখন রান তামিমের সমান- শূণ্য! আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যেটা তামিমের ৩৪তম ডাক, বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ। ব্যাট হাতে ব্যার্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়া সাকিব আল হাসানকে আরেকবার খালি চোখে ব্যার্থ বলাই যায়। তারও ঘাতক মুজারাবানি, ১৯ রান করা সাকিবকে রায়ান বার্লের ক্যাচ বানিয়ে যখন ফিরিয়েছেন বাংলাদেশের রান তখন ৩২।

সাকিবের বিদায়ের পর ওপেনার লিটনকে নিয়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন। সাকিবের সমান ১৯ রান করে চাকাভার হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন। তাকে আউট করেছেন তেন্দাই চাতারা। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও। তারপর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস মেরামতে মনযোগী হন লিটন দাশ। তুলে নেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ অর্ধশতক।

দুজনের প্রায় শতরানের জুটি ভাঙ্গে রিয়াদের বিদায়ে। ১ ছক্কায় ৩৩ রান করে আউট হন রিয়াদ। লিটন দাশের সঙ্গী তখন আফিফ হোসেন ধ্রুব। লিটন দাশ নিজের চতুর্থ অর্ধশতককে রুপান্তরিত করেন চতুর্থ শতকে। যার তিনটাই আবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। শেষ পর্যন্ত আউট হয়েছেন ১১৪ বলে ১০২ রান করে। বাকিটা সময় শুধুই আফিফ হোসেন ধ্রুবর। এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের উইলো থেকে আসে ৩৫ বলে ৪৫ রানের ঝড়ো ইনিংস। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের ইনিংস থামে ২৭৬ রানে।

বড় রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে পাঁচ ওভারের মধ্যেই দুই উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে।  প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেইলর এবং অভিষিক্ত দিওন মায়ার্স। দুজনের জুটি ভাঙ্গে শরিফুলের বলে মায়ার্স আউট হলে। নিজের প্রথম ২ ওভারে ১৭ রান খরচ করেছিলেন সাকিব, তৃতীয় ওভার করতে আসলেন জিম্বাবুয়ের ১৫তম ওভারে। ব্রেন্ডন টেইলরকে ফ্লাইটের ফাঁদে ফেলে আউট করেছেন, জিম্বাবুয়ের রান তখন ৭৮।

আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি রোডেশিয়ানরা। সাকিব এরপর  একে একে ফিরিয়েছেন  রায়ান বার্ল, ব্লেসিং মুজারাবানি, রেজিস চাকাভা আর রিচার্দ এনগারাভাকে। জিম্বাবুয়ের একমাত্র প্রাপ্তি রেজিস চাকাভার অর্ধশতক।

Advertisement
Share.

Leave A Reply