fbpx

সাত বছর পর শেষ আটে চেলসি, কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠেছে বার্য়ানও 

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement
আতলেতিকো মাদ্রিদের চলমান মৌসুমের শুরুটা দুর্দান্ত ছিল, লা-লিগায় শিরোপার সম্ভাবনা জাগানো দলটার দৌড় থামলো চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। শেষ ষোলোর দুই লেগেই হেরেছে দিয়েগো সিমিওনের দল। চেলসি দুই লেগে ১-০ ও ২-০ গোলের জয় নিয়ে সাত বছর পর উঠেছে ইউরোপ সেরার শেষ আটে।
সাত বছর পর শেষ আটে চেলসি, কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠেছে বার্য়ানও চেলসির ভীষণ বাজে সময়ের মধ্যে গত ২৭ জানুয়ারি দায়িত্ব নেন টমাস টুখেল। এরপর থেকে এখনও হারেনি দলটি। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এই নিয়ে ১৩ ম্যাচ অপরাজিত থাকলো চেলসি। ইতিহাসে নতুন কোচের হাত ধরে এটাই অপরাজেয় পথচলার রেকর্ড ইংলিশ ক্লাবটার।
সাত বছর পর শেষ আটে চেলসি, কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠেছে বার্য়ানও স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে পুরো ম্যাচের ৫৭% বলই দখলে রাখে ব্লুজরা, প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষের ওপর চাপ ধরে রাখলেও খুব বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারেনি চেলসি। ৩৪ মিনিটে স্বদেশি মিডফিল্ডার কাই হাভার্টজের বাড়ানো বল ধরে, জার্মান ফরোয়ার্ড টিমো ভেরনার বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে যান, ডি-বক্সে ডানে পাস দেন, নিখুঁত শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন মরক্কোর মিডফিল্ডার হাকিম জিয়াখ।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ব্যবধান বাড়তে পারতো। ভেরনারের শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান ইয়ান ওবলাক। এর কিছুক্ষন পরেই জিয়াখের ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া জোরালো শটও ফেরান স্লোভেনিয়ার এই গোলরক্ষক।
শেষ দিকে কিছুটা চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করে আতলেতিকো। তবে ৮১ মিনিটে দলটি ১০ জনের দলে পরিণত হলে তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর সব আশা শেষ হয়ে যায়। প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারকে কনুই দিয়ে আঘাত করায় সরাসরি লাল কার্ড দেখেন স্তেফান সাভিচ।
দুই বদলি খেলোয়াড়ের নৈপুণ্যে ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়। ক্রিস্টিয়ান পুলিসিকের পাস ডি-বক্সে পেয়ে কোনাকুনি শটে জয় নিশ্চিত করেন এমেরসন।
চেলসির জয়ের দিনে কাঙ্খিত জয় তুলে নিয়েছে বার্য়ান মিউনিখও। লাৎসিওকে ২-১ গোলে হারিয়েছে বার্য়ান, যদিও ঘরের মাঠে চেনা ছন্দে পাওয়া যায়নি হান্সি ফ্লিকের দলকে।
আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ৩৩তম মিনিটে লেভানডফস্কির স্পট কিকে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ডি-বক্সে লিওন গোরেৎসকা ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। প্রথম লেগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সাবেক রেকর্ড গোলদাতা রাউল গনজালেসকে পেছনে ফেলা লেভানডফস্কির গোল এখন ৭৩টি। প্রতিযোগিতাটিতে তার চেয়ে বেশি গোল আছে কেবল  ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো (১৩৪) ও লিওনেল মেসির (১২০)। চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে পোলিশ স্ট্রাইকারের  গোল হলো ৩৯ ।
প্রথমার্ধের বাকি সময়ে আর তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেননি বায়ার্ন। দ্বিতীয়ার্ধের ৭৩ মিনিটে লেভানডফস্কির বদলি নামা চুপো-মোটিং দলের ব্যাবধান দ্বিগুন করেন।
৮২তম মিনিটে লাৎসিওর হয়ে একমাত্র গোলটি করে ব্যবধান কমান পারোলো। ফ্রি কিকে কাছ থেকে হেডে বল জালে পাঠান এই ইতালিয়ান মিডফিল্ডার।
এই জয়ে ১৯তম বারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠলো জার্মান দলটি, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের  ইতিহাসে যা কোনো দলের সর্বোচ্চ।
Advertisement
Share.

Leave A Reply