ফের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সাথে দেখা করেছেন হেফাজতে ইসলামের ছয় নেতা। দেশজুড়ে গ্রেপ্তার হওয়া নেতাদের ছেড়ে দিতে অনুরোধ করতে তারা গিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে।
মঙ্গলবার (৪ মে) রাত ৯টা ২০ মিনিটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ধানমন্ডির বাসায় যান হেফাজতের বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব ও সাবেক কমিটির মহাসচিব নুরুল ইসলাম জিহাদীসহ আরও পাঁচ নেতা। এ সময় সেখানে তারা প্রায় তিন ঘণ্টা বৈঠক করে রাত ১১টায় বের হয়ে আসেন।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের বাসভবনে এ সময় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। আর হেফাজতের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকার তিনজন ও চট্টগ্রামের তিনজন নেতা।
জানা যায়, হেফাজতের নেতারা বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক দলটির নেতাদের মুক্তি দেওয়ার পাশাপাশি মাদ্রাসা খুলে দেওয়ারও দাবি জানান। এর আগে যখন পুলিশ হেফাজত নেতাদের গ্রেপ্তার করা শুরু করে, তখন তাদের মুক্তির দাবি নিয়ে আরও একবার ১৯ এপ্রিল নেতারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে গিয়েছিলেন।
বৈঠকের বিষয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদ সংবাদমাধ্যমকে জানান, হেফাজতে নেতাদের গ্রেপ্তাকৃতদের ছেড়ে দেওয়ার দাবির প্রেক্ষিতে স্বরাস্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভিডিও ফুটেজ দেখেই সবাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর যদি সন্দেহবশত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়, তাহলে পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
হেফাজতের বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব নুরুল ইসলাম জিহাদী বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমকে জানান, তারা নেতাকর্মীদের ছেড়ে দেওয়ার ও মাদ্রাসা খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, কাজ করতে গিয়ে তাদের কিছু ভুল হয়েছে। এসব ভাংচুর-পোড়ানোর মতো ঘটনা অনুপ্রবেশকারীরা করেছে।
উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরের বিরোধিতার মধ্য দিয়ে নতুন করে আবারও আলোচনায় আসে হেফাজত। তাদের বিক্ষোভের ফলে সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতায় বেশ ক’জন নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রায় অর্ধশত মামলার পর সম্প্রতি মামুনুলসহ হেফাজতের অনেক নেতাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের নেতাদের গ্রেপ্তারের পর গত ২৫ এপ্রিল রাতে হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে দলটির আমির জুনাইদ বাবুনগরী পাঁচ সদস্যের নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেন।