fbpx

স্বাভাবিক জলপ্রবাহে বাধা দেওয়ায় প্লাবিত হচ্ছে শ্যামপুর শিল্পাঞ্চল: তাপস

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

স্বাভাবিক জলপ্রবাহে একতরফাভাবে বাধা দেওয়ায় পুরো শ্যামপুর শিল্পাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

সাপ্তাহিক নিয়মিত পরিদর্শন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বুধবার (২০ অক্টোবর) ঢাদসিক মেয়র রেল মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন সহকারে শ্যামপুর শিল্পাঞ্চল পরিদর্শন করেন।

পরে তিনি মতিঝিলে অন্তবর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের উদ্বোধন এবং পান্থকুঞ্জ পার্ক পরিদর্শন করেন। পান্থকুঞ্জ পার্ক পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সাথে মতবিনিময়কালে শেখ তাপস এই মন্তব্য করেন।

ঢাদসিক মেয়র বলেন, ‘আমরা প্রথম দিন থেকে বলছি, সংস্থাগুলো যখনই কোনো উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করে, তারা যেন প্রকল্প প্রণয়নের পর্যায়েই আমাদের সাথে সমন্বয় করে। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করি, প্রকল্প বাস্তবায়নের শেষ পর্যায়ে গিয়ে আমাদের উপর বিভিন্নভাবে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। আপনারা লক্ষ্য করেছেন, আমরা আজকে প্রথমেই পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ সড়ক প্রকল্পের একতরফা কিছু কার্যক্রমের কারণে শ্যামপুর শিল্পাঞ্চলের স্বাভাবিক জলপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে শ্যামপুর শিল্পাঞ্চলের পুরোটাই প্লাবিত হয়ে গেছে।’

শেখ তাপস বলেন, ‘রেলমন্ত্রী সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন, অনুধাবন করেছেন। আমরা পুরো জায়গাটা হেঁটে হেঁটে দেখেছি। শ্যামপুর শিল্পাঞ্চলের পানি প্রবাহের যে সুযোগ সেটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিক যে জলপ্রবাহ ছিল, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ছিল — সেটা একতরফাভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহে রেল মন্ত্রী সময় দিয়েছেন। আমরা বিষয়টি সমন্বয় করব এবং অত্র অঞ্চলের সমস্যার দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই সমাধানে আমরা আসতে পারব বলে আশাবাদী।’

এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে প্রকল্পের জন্য পান্থকুঞ্জ পার্ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা ব্যক্ত করে ঢাদসিক মেয়র বলেন, “পান্থকুঞ্জ পার্কের উন্নয়নে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একটি প্রকল্প চলমান রয়েছে। কিন্তু এখান দিয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ের একটি লাইন যাওয়ার কথা। সেজন্য দীর্ঘদিন ধরে আমাদের প্রকল্পের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে, তারা যেভাবে পরিকল্পনা নিয়েছে — তাতে পার্কের বড় একটি অংশ চলে যাবে। কিন্তু উন্মুক্ত জায়গা, পার্ক — এগুলোকে সংরক্ষণ করতে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন রয়েছে।’

অত্র এলাকার জনগোষ্ঠীর জন্য এখানে কোন উন্মুক্ত স্থান নেই উল্লেখ করে দক্ষিণের মেয়র বলেন, ‘এজন্য এই পার্কটি এখানকার জনগোষ্ঠীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এই পার্কটিকে সংরক্ষণ করতে চাই, নান্দনিক  পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই। যাতে করে পার্কটির সুফল এলাকাবাসী ভোগ করতে পারে। আমরা প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে বলেছি — প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হলে পার্কের স্বল্প পরিমাণ জায়গা নিতে হবে। জমি অধিগ্রহণ করলে সেটার মূল্য দিতে হবে। পার্কের পরিবেশ বজায় রেখে তাদের প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে।’

Advertisement
Share.

Leave A Reply