fbpx

সড়কে দুর্ঘটনা কমাতে ডিএনসিসির সাথে ব্লুমবার্গের চুক্তি

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ঢাকা মহানগরীতে সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রোপিস ইনিশিয়েটিভ ফর গ্লোবাল রোড সেফটি ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মধ্যে ৫ বছরের জন্য সহযোগিতা কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

১১ই মার্চ রাতে জুম মিটিং এর মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম। ২০২৫ সাল পর্যন্ত সড়ক সংঘর্ষ ও মৃত্যু কমিয়ে আনতে কি কি পদক্ষেপ নেওয়া যায় এ বিষয়ে পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়ন নিয়ে কাজ করাই সংস্থা দুটির মূল উদ্দেশ্য বলে জানান মেয়র।

আতিক বলেন, ‘এই সহযোগিতা কার্যক্রমের লক্ষ্য হলো, ট্রাফিক আইন প্রয়োগ জোরদার করা, সড়কের নকশা উন্নত করা, অবকাঠামো নির্মাণ, সড়কে হতাহতের ঘটনার নজরদারি ব্যবস্থা এবং জনসচেতনতা বাড়াতে ও আচরণ পরিবর্তনে গণমাধ্যমে প্রচারণা চালানো।‘

মেয়র জানান, ‘২০১৮ সালে এয়ারপোর্ট রোডে একটি বেপরোয়া গতির বাস চাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় রাস্তায় নেমেছিলো শিক্ষার্থীরা। টানা নয়দিন সড়ক নিরাপত্তা আন্দোলনও চালিয়েছিলো তারা। আমি আশা করি আগামী পাঁচ বছরের পরিকল্পনা অনুযায়ী সড়ক নিরাপত্তা কৌশল ও কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা আরও বাসযোগ্য, নিরাপদ ও সহিষ্ণু ঢাকা গড়ে তুলতে পারবো।‘

সারা বিশ্বে সড়ক সংঘর্ষের অন্যতম প্রধান কারণ গাড়ির গতিবেগ নিয়ন্ত্রণ। এ বিষয়ে সহযোগিতা কার্যক্রমে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হবে। ঢাকা শহরের সড়ক নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় কোন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলবে না। কেবলমাত্র পরীক্ষিত ও প্রমাণিত পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে বলেও জানান মেয়র।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রোপিস-এর প্রতিনিধি কেলি লার্সন বলেন, ‘সড়ক সংঘর্ষ ও হতাহতের সংখ্যা কমিয়ে আনতে ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রোপিস ইনিশিয়েটিভ ফর গ্লোবাল রোড সেফটি শীর্ষক আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কে ঢাকা মহানগরীকে স্বাগত জানাতে পেরে আনন্দিত। বিশ্বে প্রতি বছর ১৩ লক্ষ ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ সড়কে নিহত হয়। পরীক্ষিত ও উপাত্ত-নির্ভর কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে এই মৃত্যু সংখ্যার প্রায় পুরোটাই প্রতিরোধ করা সম্ভব।‘

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মেয়র আতিকুল ইসলাম ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রোপিস-এর প্রতিনিধি কেলি লার্সন এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সহযোগী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কোঅর্ডিনেশন অথরিটি (ডিটিসিএ), ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি), বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইন্সটিটিউট (এআরআই)-এর প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply