গতকালের দেওয়া ঘোষণা অনুযায়ী আজ শনিবার বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতারা। সমাবেশ থেকে তারা আগামীকাল রোববারের ডাকা হরতালে বাধা দিলে লাগাতার কর্মসূচির হুমকি দিয়েছেন। এছাড়া অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটলে সরকারকে এর দায় নিতে হবে বলেও জানান তারা।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরবিরোধী বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে।গতকাল শুক্রবার বিক্ষোভ করেন ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ধর্মভিত্তিক দলের নেতা-কর্মী ও মুসল্লিদের একটি অংশের সাথে পুলিশ -যুব-স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনের কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে হাটহাজারীতে চারজন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন নিহত হন। আহত হন শতাধিক।
এরই পেক্ষিতে গতকাল রাত ৮ টায় পুরানা পল্টনে সংবাদ সম্মেলন করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আবদুর রব ইউসুফী। সংবাদ সম্মেলন থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেতা-কর্মী ও প্রতিবাদী মুসল্লিদের হত্যা ও হামলার প্রতিবাদে আজ সারা দেশে বিক্ষোভ এবং আগামীকাল সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ঘোষণা দেয় হেফাজতে ইসলাম।
সেই কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সকালে হেফাজতে ইসলামের কয়েক’শ নেতা-কর্মী বায়তুল মোকাররম মসজিদে অবস্থান নেয় এবং দুপুর ১২টায় বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হয়।
এসময় ঢাকা মহানগরের সভাপতি জুনায়েদ আল হাবীব জানান, ‘আগামীকাল মাঠে থাকব। গাড়ির চাকা ঘুরবে না। অফিস–আদালত বন্ধ থাকবে।’
বিক্ষোভ কর্মসূচির সভাপতি হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা নুরুল ইসলাম বলেন, শান্তিপূর্ণ হরতালে বাধা দিলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।